ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১

কুবির শিক্ষক জসিমকে বাধ্যতামূলক ছুটি, প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক

কুবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ২ অক্টোবর ২০২৪

কুবির শিক্ষক জসিমকে বাধ্যতামূলক ছুটি, প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিনকে 'দৈনিক জনকণ্ঠে' প্রকাশিত 'বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে গিয়েও নম্বর পেলেন কুবির তিন শিক্ষার্থী' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর)  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে শিক্ষক জসিম উদ্দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। 

চিঠি সূত্রে জানা যায়, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে  প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আপনাকে (মো. জসিম উদ্দিন) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটি (একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম, বিভাগে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকা) প্রদান করা হলো। এ আদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে জারি করা হলো।

চিঠির ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি গতকাল রাতে মেইলে এই চিঠি পেয়েছি। এরপর আমাকে আর কিছু জানানো হয়নি। আমি কিছু জানি না। দেখেন এই ঘটনায় একটা তদন্ত কমিটি হতে পারতো। তদন্ত কমিটি থেকে শোকজ করতে পারতো। শোকজের জবাবে আমি আমার জায়গাটা বলতাম। এরপর একটা সিদ্ধান্তে আসা যাইত। কিন্তু কোন তদন্ত কমিটি না করা আমাকে শাস্তি দিয়ে দিলো। এটা তো কোন প্রক্রিয়া হতে পারে না।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৪৩ এর ৬ -এ বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বেতনভোগী শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে তার কর্তব্যে অবহেলা, অসদাচরণ, নৈতিক স্খলন বা অদক্ষতার কারণে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চাকুরী হইতে অপসারণ বা পদচ্যুত করা অথবা অন্য কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করা যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে কোন তদন্ত কমিটি কর্তৃক তদন্ত অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এবং তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে বা কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়া চাকুরী হইতে অপসারণ বা পদচ্যুত করা যাইবে না৷

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘ন‍্যায় বিচারের জন্য আমরা ওনাকে ফোর্স লিভে পাঠিয়েছি। অন্যান্য ঘটনার মত এই ঘটনাতেও আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সকল কার্যক্রম করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থেই ওনাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। আমরা তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে কমিটি করার বিষয়টি প্রসেসিং করছি। এছাড়া ওনাকে শোকজের বিষয়টির কাজও চলছে।’
 

এম হাসান

×