ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১

দুর্ঘটনার ১৩ বছর পরও ক্ষতিপূরণ পাননি শিক্ষার্থী সাকিন 

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দুর্ঘটনার ১৩ বছর পরও ক্ষতিপূরণ পাননি শিক্ষার্থী সাকিন 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাকিন

প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরীর ছেলে কাশিফ রেজা চৌধুরীর গাড়ি সাথে দুর্ঘটনায় আহত হন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন সাকিন।দুর্ঘটনার পর শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন তিনি। 

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

২০১১ সালে এ্যালিফ্যান্ট রোডে তার বাসা কাছে গাড়ি পার্কিংয়ের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় জামিলুর রেজা চৌধুরী তাকে ক্ষরিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ ১৩ বছরেও কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

দুর্ঘটনায় আহত হন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন সাকিন জনকন্ঠকে বলেন, ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল আমি আমার মায়ের সঙ্গে এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ডাক্তারের কাছে যাই। সেখান থেকে বের হয়ে কাশিফ রেজা চৌধুরীর বাড়ির পাশস্ত এলিফ্যান্ট রোড এলাকার কাশিফ রেজা দৌধুরীর ৭৪ নং বাড়ির পাশের (বর্তমানে স্টার হোটেল) গলিতে ঢোকার সময় হঠাৎ কাশিফ রেজা চৌধুরীর বেপরোয়া গাড়ি আমার শরীরে আঘাত করলে আমি ফুটপাতে আছড়ে পড়ি। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি পূর্ণ ক্ষতিপূরণ, কাশিফ রেজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, চিকিৎসাসহ তার পরিপূর্ণ পুনর্বাসন এবং সড়কের নিরাপত্তার দাবি জানান।

এসময় তার গাড়ি আমাকে টেনে নিয়ে পিলারের সাথে ধাক্কা দেয়। এতে আমি শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ি। আঘাতের কারণে আমার শরীরের বামপাশ অচল হয়ে গেছে। আমি ঠিকমতো হাঁটতে পারি না। মাঝে মাঝে আমার সমস্ত শরীর কাঁপুনি দেয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর জামিলুর রেজা চৌধুরী আমাকে চিকিৎসা ব্যয় বহনের আশ্বাস দেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি তিনি বাস্তবায়ন করেননি।

তিনি আমাকে কয়েকদিনের হাসপাতালের বিল দিয়েছেন এবং একটি ব্যায়ামের সাইকেল দিয়েছেন কেবল। আমার বাবা থানায় মামলা করতে গেলে বলা হয়, সবকিছু শেষ করে দেওয়া হবে। ১৩ বছর পেরিয়ে গেল, আজও আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার মতো আরও অনেকে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়েছেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই।

সাকিনের বাবা মো: শাহজাহান জনকন্ঠকে বলেন,  আমি আমার ছেলের  চিকিৎসার ব্যয় বহন করে প্রায় নিঃশ্ব হয়ে গেছি। প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরী আমার ছেলের চিকিৎসা সহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার আশ্বাস দিলেও প্রকৃত অর্থে তিনি কিছুই করেননি।  বরং তৎকালীন সরকারের প্রভাবশালী হওয়া আমি পদে পদে হয়রানীর শিকার হয়েছি।

 

শহিদ

×