ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

অসুস্থ মানুষ ও প্রাণীদের চিকিৎসা সেবা এবং পুনর্বাসন

রিয়াজ হোসাইন

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অসুস্থ মানুষ ও প্রাণীদের চিকিৎসা সেবা এবং পুনর্বাসন

নিঃস্বার্থভাবে অন্যের উপকারেই মনুষ্যত্বের প্রকৃত পরিচয়

নিঃস্বার্থভাবে অন্যের উপকারেই মনুষ্যত্বের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়। প্রখ?্যাত শিক্ষা?বিদ ও লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মতে, মানুষের জীবনকে দুইতলার একটি কাঠামোর সঙ্গে তুলনা করা হলে, প্রথম তলায় থাকে জীবনসত্তা এবং দ্বিতীয় তলায় মনুষ্যত্ব। সম্প্রতি দেশ এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে, বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ এবং গবাদিপশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে, পাশাপাশি তীব্র খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কম নয়, বিশেষ করে অসুস্থ মানুষ ও গবাদিপশুদের সাহায্য প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদ এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি দল বন্যাকবলিত অঞ্চলে অসুস্থ মানুষ এবং প্রাণীর চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করেছে। এছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজনের পুনর্বাসনের জন্য বিনামূল্যে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদনশীল ফাওমি এবং আরআইআর জাতের ৩৬০টি মুরগি ৭২ অসহায় নারীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিজনকে ৪টি মুরগি এবং ১?টি মোরগ দেওয়া হয়।

এই ক্যাম্পেনে বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের তৃতীয় বর্ষ থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৯  শিক্ষার্থী, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের ৮ জন এবং মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানি শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. ওকাবায়াশি ক্যুনাইকি, কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. চন্দন কুমার পোদ্দার, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইসমাইল হোসেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন মো. লাভলু মিয়া এবং স্থানীয় প্রতিনিধিরা এ উদ্যোগে অংশ নেন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল স্কুল মাঠে এই ক্যাম্প পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০০ জন খামারির বিনামূল্যে গবাদিপশুর চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করেন, যাদের মধ্যে কেউ ২ থেকে ১৬টি গবাদিপশু পালন করছেন। এছাড়া ক্যাম্পে প্রায় ১০০টি গরুকে তড়কা রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয় এবং ৫০০  মানুষকে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ বিতরণ করা হয়। 
শিক্ষার্থীরা খামারি, মা, শিশু এবং বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শও প্রদান করেন। সেবা গ্রহণকারী একজন খামারি বলেন, ‘পানি নেমে যাওয়ার পর আমাদের গরু, ছাগল, হাঁস ও মুরগির চিকিৎসার সংকটের সময় এই সেবা আমাদের অনেক উপকার করেছে।

×