ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১

স্কুলে ভর্তিতে এ বছরও থাকছে লটারি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রবিবার

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২০:৩০, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্কুলে ভর্তিতে এ বছরও থাকছে লটারি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রবিবার

ফাইল ফটো

স্কুলে এ বছরও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ও ভর্তি প্রক্রিয়া বহাল থাকছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ‘ভর্তি নীতিমালা সংশোধন’ নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে চ’ড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে রবিবার। বৈঠকে অংশ নেওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাউশির বিদ্যালয় শাখার পরিচালক সৈয়দ জাফর আলী জানান, লটারি নাকি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করা হবে, সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এবারও লটারি পদ্ধতি রাখার পক্ষে মতামত দেন অধিকাংশ সদস্য। ফলে লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবগত করা হবে। তিনি চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে নীতিমালা আকারে তা প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আগ্রহে এবারও লটারি পদ্ধতি বহাল রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সভায় অংশ নেওয়া ঢাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে কয়জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন, তারা সবাই পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির পক্ষে মতামত দেন। তবে শিক্ষা প্রশাসন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কমিটিতে বেশি। তাদের অধিকাংশই লটারি বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। ফলে লটারির মাধ্যমে ভর্তির সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো উচিত নয়। প্রাথমিক স্তরে অর্থাৎ, প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণিতে এটা ঠিক আছে। তার ওপরের ক্লাসে অবশ্যই মূল্যায়ন বা পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির নিয়ম থাকা উচিত। আশা করি, আগামী বছর সেটি বাস্তবায়ন হবে।

তবে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, লটারি পদ্ধতি পরিবর্তন করা হলে আবারও ভর্তি বাণিজ্য মাথা চাড়া দেবে। আবার কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকেও প্যানিকের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হবে। অভিভাবকদের মধ্যেও উৎকণ্ঠা  বাড়বে। ফলে অধিকাংশ কর্মকর্তারায় লটারির পক্ষে মত দিয়েছেন।

সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে কয়েক বছর ধরে ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে আসছে সরকার। এবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে, পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। তাদের সেই দাবি পর্যালোচনা করে ভর্তি নীতিমালা সংশোধনে বৃহস্পতিবার সভা ডাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে লটারি পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

গত বছর ৬৫৮টি সরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন ছিল এক লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। বিপরীতে আবেদন করেছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন। অন্যদিকে তিন হাজার ১৮৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ তিন হাজার ৯৯৩টি। বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে তিন লাখ ১০ হাজার ৭৭৯টি। এবার কিছু আসন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে মাউশি সূত্র।

 

এসআর

×