এইচএসসির বাতিল পরীক্ষার ফল এসএসসির নম্বরের ভিত্তিতে

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রস্তুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে শুধু পরীক্ষার্থীদের এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানের সই করা চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর আগে শিক্ষা বোর্ড থেকে ২৫ শতাংশ জেএসসি ও ৭৫ শতাংশ এসএসসির নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এসএসসির ফল সমন্বয় করে বাতিল পরীক্ষার নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
চিঠিতে বলা হয়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যেসব বিষয়ে প্রকৃত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন পূর্ণমানের ভিত্তিতে প্রস্তুত করতে হবে। আর যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি, সেসব বিষয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর স্ব স্ব এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলকে শতভাগ (১০০ শতাংশ) ভিত্তি ধরে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ফল প্রস্তুত করতে হবে।
এ নির্দেশনার তথ্য নিশ্চিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, চিঠি পেয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে, সেভাবে ফল তৈরি করা হবে। এরপর ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। সেখান থেকে প্রস্তাব অনুমোদন হলে চূড়ান্তভাবে ফল প্রকাশের তারিখ জানাতে পারব আমরা।

কবে নাগাদ ফল প্রকাশ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শীঘ্রই আমরা ফল প্রকাশের সম্ভাব্য একাধিক তারিখ ঠিক করব। সেগুলো জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। সেখান থেকে তারিখ চূড়ান্ত করে প্রস্তাবটি অনুমোদন হয়ে আসবে। তারপর আমরা চূড়ান্তভাবে ফল প্রকাশের তারিখ জানাতে পারব
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা যেসব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি, সেগুলোর জন্য আদায় করা ফি ফেরত দেওয়া হবে। তত্ত্বীয় বা লিখিত পরীক্ষার জন্য পত্রপ্রতি নেওয়া ৪০ টাকা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য পত্রপ্রতি বা বিষয়ের জন্য নেওয়া ৪৫ টাকা পরীক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বোর্ড।