ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১

ছাত্রীদের ভিডিও কল ও অশ্লীল মেসেজ দিতেন রাবি শিক্ষক টভেল

প্রকাশিত: ২০:০৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্রীদের ভিডিও কল ও অশ্লীল মেসেজ দিতেন রাবি শিক্ষক টভেল

সহকারী অধ্যাপক মনিরউদ্দিন আহম্মেদ টভেলের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের কারুশিল্প ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মনিরউদ্দিন আহম্মেদ টভেলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এদিনই ওই শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে ডিসিপ্লিনের একাডেমিক কমিটি।

লিখিত অভিযোগ পত্রে ৯ জন শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির বর্ণনা দিয়েছেন। এ ছাড়া ছাত্রীদের মেসেঞ্জারে পাঠানো ওই শিক্ষকের বিভিন্ন অশালীন বার্তার স্ক্রিনশট যুক্ত করেছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অপেশাদার আচরণ ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন আরও ১৪ জন শিক্ষার্থী। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে চারুকলা অনুষদের ১৫০ জন শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবির পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন।

লিখিত অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, সহকারী অধ্যাপক মনিরউদ্দীন আহম্মেদ ক্লাস ও ক্লাসের বাইরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এছাড়াও একাডেমিক পরিসরে অনিয়ম, অপেশাদার আচরণ, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অপমান-অপদস্ত করা, ফেল করানোর হুমকিসহ নানা অপকর্ম ও অত্যাচারে তাদের শিক্ষাজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এজন্য সুষ্ঠু প্রমাণের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে অপসারণ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, ‘মনিরউদ্দিন আহম্মেদ ক্লাসে নানা অজুহাতে একাধিক নারী শিক্ষার্থীকে স্পর্শ করতেন। তাদের অপ্রয়োজনে দিনে-রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও কল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে বার্তা পাঠাতেন। ছাত্রীদের শারীরিক গঠন নিয়েও অশালীন মন্তব্য করতেন। এছাড়া পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি শিক্ষার্থীদের অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিতেন।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী অধ্যাপক মনিরউদ্দিন আহম্মেদ টভেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের কারুশিল্প ডিসিপ্লিনের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, গত রবিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ জানায়। বিভাগের শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ওইদিন বিকালেই একাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় ওই শিক্ষককে ক্লাস-পরীক্ষা থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।

এবি

×