ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১

চার দফা দাবিতে ফের রাজপথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ঢাবি রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ১৩ আগস্ট ২০২৪

চার দফা দাবিতে ফের রাজপথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

চার দফা দাবিতে ফের মাঠে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সামনে একত্রিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, সেসব পয়েন্ট অভিমুখে ‘রোডমার্চ’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রোডমার্চ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল-পাড়া-ফুলার রোড় হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা করে তারা। চার দফা প্রথম দুই দফা ঘোষণা করে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের এই রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচির দাবি চারটি। তার প্রথম দুই দাবি হলো- ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবিটি হলো- সংখ্যালঘুদের উপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।’

আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের তৃতীয় দাবি হলো- প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নূতন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। চতুর্থ দাবি হলো- প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।’

শহীদ মিনারে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এটিকে রুখে দিতে রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমরা ছাত্র-জনতা যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রস্তত রয়েছি। আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের বিনিময়ে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে সেই অভ্যুত্থানকে আমারা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করবো। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসররা যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে, দেশের ছাত্র জনতা ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করবে। আমাদের আগামীকালের কর্মসূচি সন্ধার মধ্যে ঘোষণা করা হবে।’

 এসময় আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা দেখেছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিভিন্ন জায়গায় কমিটি দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু এরসঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই, আমরা এখনো এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। তাই আমাদের আন্দোলনকে সামনে এগিয়ে নিতে আপনারা চাইলে ভলান্টিয়ার কমিটি গঠন করতে পারেন। তবে সেখানে কোনো সমন্বয়ক বা সহ-সমন্বয়ক থাকবে না। সবাই ভলান্টিয়ার সেখানে। কমিটি ঘোষণা করবো কিনা সেটা আমরা পরবর্তীতে জানাবো।’

এম হাসান

×