ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

 সাক্ষাৎকার

‘শিক্ষার্থীরা নতুন চিন্তাকে সামনে আনুক, এটাই প্রত্যাশা’

প্রকাশিত: ০১:৪০, ৪ আগস্ট ২০২৪

‘শিক্ষার্থীরা নতুন চিন্তাকে সামনে আনুক, এটাই প্রত্যাশা’

মরিয়ম মিম

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক আপনি। গবেষণা কেন্দ্র নিয়ে নতুন করে ভাবনার জায়গাগুলো কী?
কিছুদিন আগেই গেল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মেলা, যা গত ২০২৩ সাল থেকে আমরা প্রথম শুরু করেছি। সেই গবেষণা মেলায় যে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলাম তার বাইরেও কিন্তু নতুন নতুন সংযোজন করেছি। যেমন এ বছর গবেষণা মেলা নিয়ে আমরা প্রেস কনফারেন্স করেছি, সবাইকে জানিয়েছি, পুরো মেলার ভিডিওচিত্র ধারণ করেছি, যার তিনটি খ- খ- অংশ এখন ফেসবুকে আছে, সবমিলিয়ে প্রায় আধঘণ্টার ডকুমেন্টারি হবে। আমরা একটা প্রকাশনাও বের করেছি। এই সময়কালটা তো একটা ইতিহাস, শুধু প্রকাশনার ফরম্যাটে না থেকে আমরা ভিডিওচিত্র ধারণ করেছি যা আর্কাইভাল জায়গায় থাকবে।

যারা মেলায় উপস্থিত ছিল না, দেশে-বিদেশে আছে তারাও কিন্তু দেখতে পাবে মেলায় কী হয়েছে। এবং ভবিষ্যতে যারা আমাদের শিক্ষার্থী হবে তারাও কিন্তু এটা দেখতে পাবে যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটা মেলা হয় এবং তারা কিন্তু এই মেলাটাকে কিভাবে আরও সুসজ্জিত করবে, আলোকিত করবে সেই চিন্তাটাকে প্রকাশ করতে পারবে।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই প্রথম আপনার গবেষণা প্রস্তাবনা আহ্বান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী গবেষকদের কাছে কী প্রত্যাশা?
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মটো ‘শিক্ষা-গবেষণা-উন্নয়ন’, এই মটোকে উপজীব্য করে আমাদের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর স্যার নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার উন্নয়নের জন্য। সেই ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যকে সম্প্রসারিত করার জন্য আমরা সকলেই উদ্যোগী। বিশেষত আমার উপরে এখন দায়িত্ব এসেছে এই গবষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের। সেখান থেকে আমি প্রথম প্রকল্প আহ্বান করেছি এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্প জমা দিচ্ছেন।

অবশ্যই প্রত্যাশা থাকে একজন শিক্ষক ও পরিচালক হিসেবে যে নতুন নতুন বিষয় জানব তাদের গবেষণার মাধ্যমে। গবেষক-শিক্ষার্থীরা আমাদের চিন্তার বাইরের নতুন কোনো চিন্তাকে সামনে আনুক, এটাই প্রত্যাশা। আমরাও সেখান থেকে সমৃদ্ধ হব, এটাই চাই। শিক্ষক-শিক্ষার্থী গবেষকরা, সেটা বিজ্ঞানের হোক, ব্যবসায়ের হোক বা কলারই হোক, প্রত্যেকটা শাখা থেকে তারা তাদের গবেষণা মেলে ধরবে এবং আমরা সমৃদ্ধ হব এটাই চাই।

গবেষণা প্রস্তাবনা অনুমোদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর কোনো কোনো বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়? 
এমনিতে আমরা যে বিজ্ঞাপন দিয়েছি সে বিজ্ঞাপনে যে শর্তগুলো দেয়া থাকে সেগুলো তো মানাই হয়। এছাড়াও যারা মূল্যায়ন করেন, মূল্যায়নের জন্য তো আমাদের প্যানেল আছে, তারা এই প্রস্তাবনার প্রাসঙ্গিকতা বা এই সময়ে এই গবেষণালব্ধ জ্ঞান আমাদের কী দিতে পারে, আমাদের জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে এর কোনো প্রাসঙ্গকিতা আছে কিনা সেই বিষয়গুলো দেখেন। এছাড়া এই গবেষণা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বা বাংলাদেশের বা বিশ্বের কোনো কাজে লাগবে, সেই প্রাসঙ্গকিতা খুঁজে পেলে মূল্যায়নকারীরা নম্বর দেন এবং সেই প্রস্তাবনা গ্র্যান্টেড হয়। 

একটি অর্থবছরে সর্বমোট কতজনকে গবেষণা প্রস্তাবনার জন্য নির্বাচিত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনো সংখ্যাগত সীমাবদ্ধতা আছে কি?
সেই অর্থে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তবে গতবার আমরা মোট ১১২ জনকে প্রস্তাবনার জন্য নির্বাচিত করেছি। আমাদের কাছে জমা পড়া প্রস্তাবনাগুলো যদি নির্দিষ্ট নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়, মূল্যায়নকারী যদি প্রকল্পকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়, অনুমোদন দেয় তখনই আমাদের হাই পাওয়ার বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে তাকে আমরা প্রকল্প দিতে পারি কিনা। ধরা যাক, এখন যদি ১২০ জন শিক্ষক প্রস্তাবনা দেয় সেখান থেকে হয়তো যাচাই-বাছাই করে ১১২ জন টিকেছে। এখন যদি ২০০ জন দেয়, তাহলে যাচাই-বাছাই করে যে ক’জনেরটা টিকবে তারাই অনুমোদন পাবে। আমাদের টাকার অঙ্কটা হয়তো নির্দিষ্ট, কিন্তু মানুষের সংখ্যাটা নির্দিষ্ট না।

×