ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

সোমবার স্পেশাল ক্যাবিনেট সভায় প্রাথমিক খোলার সিদ্ধান্ত আসবে

আসিফ হাসান কাজল 

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ২৭ জুলাই ২০২৪; আপডেট: ১৯:৪১, ২৭ জুলাই ২০২৪

সোমবার স্পেশাল ক্যাবিনেট সভায় প্রাথমিক খোলার সিদ্ধান্ত আসবে

স্পেশাল ক্যাবিনেট সভায় প্রাথমিক খোলার সিদ্ধান্ত

চলমান পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিদ্যালয় খোলার প্রতীক্ষায় আছেন। তবে এখনো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার চিন্তা রয়েছে। যা স্পেশাল ক্যাবিনেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জনকণ্ঠকে বলেন, সোমবার স্পেশাল ক্যাবিনেট মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। তবে এখন পর্যন্ত স্কুল খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সারাদেশের সব পর্যায়ের প্রাথমিক একযোগে খুলে দেওয়া হবে কী এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, সব জেলা থেকেই তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। তথ্য পাওয়ার পর ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন সরকারের চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং এক উপদেষ্টা। বৈঠকে  দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নাশকতার মামলার তদন্ত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। 

সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো প্রতিবেদন সভায় বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিবেদনে উঠে আসে, ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর বাদে অন্য সব জেলার পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এই চার জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে। প্রথমে খুলে দেওয়া হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ধাপে ধাপে স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করেছি। কারণ এরসঙ্গে কোমলমতি শিশুর নিরাপত্তার বিষয়ও জড়িত রয়েছে। সূত্র বলছে, সোমবার মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।  

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও দেশব্যপী হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় আমলে নিয়ে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার আগে প্রথম পর্যায়ে দেশের আটটি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। চালু ছিল জেলা ও উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়।

এবি

×