ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১

ঢাবির সব পরীক্ষা স্থগিত করলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

প্রকাশিত: ২০:২৫, ৩০ জুন ২০২৪

ঢাবির সব পরীক্ষা স্থগিত করলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. হিমাদ্রি শেখর চক্রবর্তীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতঃপূর্বে ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই তারিখ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ও কার্জন হল পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষাগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো।  তবে অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজের পরীক্ষাগুলো পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

অনিবার্য এই কারণটা কী, সে সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে তেমন কিছু বলা হয়নি। কিন্তু সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও তাদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনের দাবিতে দেশের অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কর্মবিরতি পালন করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

রবিবার (৩০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া এসব দাবিতে সোমবার থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে। ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি মতো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয় এবং আজ ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত প্রত্যয় স্কিম বাস্তবায়ন করা হলে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, যাঁরা আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় আসতে আগ্রহী, তাঁরাও এর ভুক্তভোগী হবেন। কাজেই আমাদের এ আন্দোলন আগামী দিনের তরুণ সমাজের স্বার্থরক্ষার পক্ষে এবং উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থ্যা প্রপ্রসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন। আমরা এখনও আশা করি সরকার অনতিবিলম্বে এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন যাতে আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারি। অন্যথায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অন্যান্য প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শহিদ

×