ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১

নিরাপত্তা কর্মচারীর প্রটোকলে ইবির গাছ পাচার

ইবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ২৫ জুন ২০২৪; আপডেট: ২০:৩৩, ২৫ জুন ২০২৪

নিরাপত্তা কর্মচারীর প্রটোকলে ইবির গাছ পাচার

.

ঈদের ছুটির মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মচারীর প্রটোকলে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ফরিদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার কর্মচারী। গত ১৪ জুন ভোর ৫টার দিকে ভ্যানযোগে এসব গাছ পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রক্ষকই ভক্ষকের মত আচরণ করেছে বলে জানান তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আনসাররা জানিয়েছে, আনুমানিক ভোর পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ৭-৮টি ভ্যানযোগে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচার হয়।  এসময় আনসার সদস্যরা ভ্যান বের হতে বাঁধা দেয়। পরে ওই নিরাপত্তাকর্মচারী নিজে গিয়ে ‘ভ্যান পাসের’ ব্যবস্থা করেন। এসময় অভিযুক্ত সেই কর্মচারী বাইকযোগে ওই স্থানে টহলের মাধ্যমে প্রটোকল দিচ্ছিলেন এমন একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি বাইক নিয়ে ফটকের বাইরে ভেতরে যাওয়া আসা করছিলেন। এসময় একে একে কয়েকটি ভ্যান বের হতে দেখা যায়। সেগুলোতে কয়েকটি বড় গাছের গুড়ি আর কয়েকটিতে ছোট-বড় খড়ি ছিল। এদিকে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পানি জমিতে সেচের অভিযোগও আছে।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নিরাপত্তা কর্মচারী ফরিদ। তিনি বলেন, আমি একটি ভ্যানে কিছু খড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম। সিকিউরিটি প্রধান (আব্দুস সালাম সেলিম) স্যারের সঙ্গে কথা বলেই নিয়েছিলাম। পরে বিশ^বিদ্যালয়ের এক সিনিয়র কর্মচারী বাঁধা দিলে সেগুলো আমি আনসার ক্যাম্পের সামনে রেখে আসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মালি আলতাফ হোসেন বলেন, ঈদের ছুটির আগে বিভিন্ন জায়গায় ১০০-১৫০ মণের মতো খড়ি কেটে রেখে ক্যাম্পাস থেকে গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে ফিরে দেখি একটা খড়িও নেই।

প্রধান নিরাপত্তা কর্মাকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, ফরিদ আমাকে বলেছিল, কিছু ছোট-খাটো খড়ি আর পাতা নিয়ে যাবে। তাই আমি বাঁধা দেইনি। যখন শুনলাম তিন ভ্যান খড়ি নিয়ে গেছে আমি তাকে সব ফেরত দিয়ে যেতে বলেছি। এস্টেট প্রধানকেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম।

এস্টেট প্রধান শামছুল ইসলাম জোহা বলেন, ছোট-খাটো ডালপালা নিয়ে গেছে শুনছিলাম। এ ব্যাপারে আমি পুরোপুরি অবগত নই। আগামীকাল (বুধবার) ক্যাম্পাসে গিয়ে খোঁজ নিব।

বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি বিষয়টা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সিকিউরিটি ইনচার্জকে (সেলিম) বলেছি। ব্যাপারটা জানাজানি হওয়ার আগেই সবকিছু ফেরত দিতে বলেছি। রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তবে তো বিপদ!
 

 

এসআর

×