ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১০:২৭, ৬ মে ২০২৪

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনিক

চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনিকসহ পাঁচ জনকে আসামি করে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়েছে। ফয়সাল হেলাল নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।

রবিবার (৫ মে) ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রাপুর আমলী আদালতে মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শাহা আলম বিষয়টি জানিয়েছেন। মামলার প্রথম আসামি মহিউদ্দিন অনিক, দ্বিতীয় সৌরভ হাওলাদার, তৃতীয় রিপন, চতুর্থ হাসিবুল হাসান হৃদয় এবং পঞ্চম হিমুসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামীগন দীর্ঘদিন ধরে ব্যাবসায়ী ফয়সাল হেলানকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। হেলাল জীবনের ভয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন হতে বিরত থাকে।

গত ২৬ এপ্রিল সারাদিন ব্যবসা বানিজ্য করে তাহার ব্যবসায়ের বকেয়া পাওনা টাকা থেকে দুই লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা কালেকশন করে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় নিজ বাসায় ফেরার পথে ৪২/৪৩, নর্থব্রুক হল রোডে অবস্থিত রাজমহল হোটেলের সামনে পৌছানো মাত্র ১নং আসামী মো. মহিউদ্দিন অনিক এর নেতৃত্বে অনান্য আসামীগন বাদীর গতি রোধ করে দাঁড়ায় এবং বাদীর নিকট যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে।

বাদী আসামীদের ভয়ে আসামীদের সাথে কথা বলতে বলতে রাজমহল হোটেলের ভিতর ঢুকে যায়। তখন আসামীগন বাদীর পিছনে পিছনে রাজমহল হোটেলে ঢুকে বাদীকে ঘেরাও করে ধরে বাদীর নিকট থাকা টাকা পয়সা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে বলে। তখন ১ ও ২নং আসামী বাদীকে চর-থাপ্পর মারতে থাকে। ১নং আসামী বাদীর পকেটে থাকা দুই লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোড়পূর্বক নিয়ে যায়। তখন ২নং আসামী বাদীর নিকট আর কি আছে জানতে চায় ও দিয়ে দিতে বলে। অন্যান্য আসামীগন বাদীকে বেদম মারপিট করে মারাত্বকভাবে আহত করে ৩নং আসামী তার হাতে থাকা চাকু বেড় করে বাদীকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে যায়। তখন বাদীর ডাক চিৎকারে হোটেলে কর্মরত কর্মচারীরা এগিয়ে এসে বাদীকে আসামীদের হাত হইতে রক্ষা করে। ফলে আসামীগন বাদীর মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা অবশিষ্ট টাকা নিতে পারেনি। কিন্তু যাবার আগে ২নং আসামী আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাদীকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে অন্যথায় বাদীকে জানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে যায়।

যেহেতু আসামীগন পরস্পর যোগসাজসে বাদীকে অবৈধভাবে গতিরোধ করে আটক করে মারধর করে মারাত্বক আঘাত করে আহত করে হত্যা করার চেষ্টা করে বাদীর প্যান্টের পকেট থেকে ২ লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে এবং বাদীর নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং বাদী এ বিষয়ে কোন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি জানালে বাদীকে হত্যার হুমকী দিয়ে দন্ডবিধির ১১৪/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩৪৭ /৩৮৪/৩৮৬/৩০৭/৫০৬/৩৪ ধারার অপরাধ করেছে যাহা বিজ্ঞ আদালতের এখতিয়ারাধীন বিচার্য্য।

যেহেতু বাদী এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ, মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। তাই বাদী বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলবো।

বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সাথে এবিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

বারাত

×