সংবাদ সম্মেলন।
প্রতি বছর ৩ লাখ তরুণ-তরুণীকে শতাধিক ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি জ্ঞান বৃদ্ধি ও দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা হচ্ছে শর্ট কোর্সের মাধ্যমে। সাড়ে তিন হাজার প্রতিষ্ঠানে এসব কোর্সের ফলে কারিগরি শিক্ষার হারও বাড়ছে। বিগত সময়ে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কোর্সগুলো থাকলেও তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শর্ট কোর্স ঐক্য পরিষদ। ফলে শর্ট কোর্স বন্ধ ও এর ফলে কারিগরি শিক্ষা মুখ থুবরে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রবিবার (১০ মার্চ) বিকাল ৩ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শর্ট কোর্স ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশের আয়োজনে 'দাবি মোদের একটাই কারিগরি বোর্ডে থাকতে চাই' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কোর্স কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একটি স্বতন্ত্র বোর্ড। ২০১৮ সনের ৬৬নং আইনে বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা ও সনদায়নের ক্ষমতা স্বীকৃত বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে। ফলে এই কোর্সসমূহ পরিচালনার ক্ষমতা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে কোর্সগুলো বন্ধ করলে দেশের কারিগরি শিক্ষার হার মুখ থুবরে পড়বে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘জাতীয় দক্ষতামান বেসিক কোর্সগুলো (৩৬০ ঘণ্টা মেয়াদি)। বোর্ডের আওতায় কোর্সগুলো কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সাড়ে তিন হাজার সরকারি, বেসরকারি এমনকি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে কোর্সটি চলমান। এই কোর্স থেকে বেশ কিছু দক্ষ কর্মী হিসেবে বিদেশে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন তথা আমাদের জাতীয় রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শর্ট কোর্স ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মো. মোস্তাফিজার রহমান, শামীম আরা বেগম, ও মো. আফসার আলী।
এম হাসান