ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

বাংলাদেশী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিবে জাপান

প্রকাশিত: ১২:৫১, ১০ মার্চ ২০২৪; আপডেট: ১৩:০০, ১০ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিবে জাপান

শিক্ষক। ফাইল ছবি।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিবেন জাপান সরকার। বাংলাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জাপানের এ প্রশিক্ষণ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। জাপান সরকারের এ বৃত্তির নাম ‘মেক্সট।

গত ২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বিষয়টি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

জাপানে পড়াশোনার জন্য অন্যতম একটি বৃত্তি হলো ‘মেক্সট’ (এমইএক্সটি)। শব্দটি প্রকৃতপক্ষে মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন, কালচার, স্পোর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমইসিএসএসটি)। বড়সড় শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হলো মেক্সট।

আরও পড়ুন : সুখবর! বিনামূল্যে চীনে স্নাতকোত্তর-পিএইচডি করার সুযোগ

১৯৫৪ সাল থেকে শুরু করে বিশ্বের ১৬০টির মতো দেশ থেকে আসা ছাত্রদের জন্য এ বৃত্তি দেয় জাপান সরকার। জাপান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে খ্যাতনামা ও সম্মানিত। এ বৃত্তির জন্য ভিসা পেলে ভিসায় লেখা থাকে ‘গভট. স্কলার’। জাপানের গবেষণার মাধ্যমে বৃত্তি প্রাপ্তির দেশ এবং জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু হয়ে ওঠা মানবসম্পদকে উৎসাহিত করা এবং উভয় দেশ ও বৃহত্তর বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যেই দেওয়া হয় এ বৃত্তি।

বৃত্তিপ্রাপ্তদের কোনো টিউশন ফি বা ভর্তি ফি দেওয়া লাগবে না;

আবেদন করতেও লাগবে না কোনো ফি;

আসা-যাওয়ার বিমান খরচও মিলবে;

শিক্ষার্থীদের আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোর দেখাতে হবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা ও পরীক্ষা হয়েছে, সেটির প্রমাণ লাগবে।

উল্লেখ্যযোগ্য শর্ত

জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে—এমন যেকোনো দেশের আন্তর্জাতিক ছাত্র হতে হবে;

১৯৮৯ সালের ২ এপ্রিল বা এর পরে জন্মগ্রহণকারী আগ্রহী বাংলাদেশিরা আবেদন করতে পারবেন;

আবেদনকারীকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট অথবা প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক হতে হবে;

আবেদনকারীর ৫ বছর বা তারও বেশি শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;

প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিশিয়েন্সির ওপর প্রাধান্য দেওয়া হবে;

সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র, পাসপোর্ট অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র, আইইএলটিএস/টোয়েফল স্কোরশিট (যদি থাকে), শিক্ষকতার প্রত্যয়নপত্র ও অভিজ্ঞতার সনদ, অন্যান্য ডকুমেন্টসহ আবেদন করতে হবে।

আবেদনপদ্ধতি

আবেদনকারীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লিংকে আবেদন করতে হবে। ১০ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষকেরা। এই লিংক এরপর আর কার্যকর থাকবে না। আবেদনকারীকে লিংকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পরে আবেদনের হার্ড কপি জমা দিতে হবে। সচিবালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন অভ্যর্থনাকক্ষে নির্ধারিত বক্সে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়া যাবে।

তাসমিম

সম্পর্কিত বিষয়:

×