ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১ম শ্রেণিতে অনিয়মে ভর্তি হওয়া ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে শুন্য আসনে ৭ দিনের মধ্যে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ছাত্রী ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্ট এই রায় দেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুল বোঝাবুঝিতে ভিকারুননিসা নূনের ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে কর্তপক্ষ। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্দেশনায় ২০২৪ সালে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করা হয়।
ভিকারুননিসা নূনের চারটি শাখায় প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হওয়া ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক স্মারকে নির্দেশনা দেয় মাউশি। এরপর সোমবার ভর্তি বাতিল করা হয় জানিয়ে মাউশিতে চিঠি পাঠান ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ।
চলতি বছর ১ হাজার ৬২১ টি আসনে প্রথম শ্রেণিতে ছাত্রী ভর্তি হয়। ভর্তির পরে দেখা যায়, ২০১৫ সাল এবং ২০১৬ সালে জন্ম নেয়া ১৬৯ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অপেক্ষমান তালিকায় থাকা কয়েকজন শিশুর অভিভাবক উচ্চ আদালতে রিট করে। বুধবার উচ্চআদালত থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে বিষয়টি নিস্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নীতিমালা না মানায় এই শিশুদের ভর্তি বাতিল করে দেয় মাউশি। কাদের ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করা হবে বলে জানায় মাউশি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘স্কুল কতৃপক্ষ যদি যাচাই বাছাই করতে তাহলে এরা সুযোগ পেত না। লটারির মাধ্যমে গিয়েছে কিন্তু স্পষ্ট বলা আছে যাচাই-বাছাই করে তাদের (স্কুলের) শর্ত অনুযায়ী ভর্তি করতে হবে। তাদের শর্তে ব্যতয় ঘটে থাকলেও লটারিতে চান্স পেলেও ভর্তি হওয়ার কথা না। স্কুলের নিয়মই স্কুল মানে নি। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাদের ভর্তি বাতিল হয়েছে।’
ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই অবস্থা হয়েছে জানিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, মাউশি থেকে লটারিতে যাদের সুপারিশ করা হয়েছে তাদেরই ভর্তি করা হয়েছে। বয়স যে যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন ছিল সেটি তখন দেখা হয়নি।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ‘মাউশি আমাদের অভিবাবক প্রতিষ্ঠান। যাদের লটারিতে দিয়েছে তাদের নিয়েছি। এখানে আর যাচাই করা হয়নি।’
এদিকে অভিভাবক নেতারা বলছেন, বড়দের ভুলের দায় এই শিশুরা কেন নেবে। এই ভর্তি বাতিলে শিশুদের ওপর মারাত্মক খারাপ প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে, এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত কি সেটি নিয়ে কোনো কর্তৃপক্ষের কাছেই সদুত্তর নেই।
অভিভাবকরা বলছেন, ‘ভুলবুঝাবুঝি যাইহোক এই শিশুদের এখন কী হবে। এরা এখন কোথায় ভর্তি হবে। এরা এবং এদের পরিবারের মনের অবস্থা কী হবে।’
এস