ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতা দেওয়া হবে 

প্রকাশিত: ১৮:১০, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতা দেওয়া হবে 

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যত কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতা আছে, সব শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম সেসব দক্ষতা দেওয়ার প্রত্যাশা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। 

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ের ওপর আমাদের জোর দিতে বলেছেন। কারণ এবার ‘কর্মসংস্থান সৃষ্টি’ আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। স্মার্ট সিটিজেন গড়ার জন্য কর্মসংস্থান গড়তেই হবে, এ লক্ষ্যে আমাদের মাল্টি স্কিল (বহুমুখী দক্ষতা) স্মার্ট সিটিজেন খুব প্রয়োজন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয় পর্যায় শেষ করতে আমাদের যে প্রতিবন্ধকতা আছে, তা নিরসন করতে হবে। প্রায় এক কোটির ঊর্ধ্বে শিক্ষার্থীদের এই বিশাল জনগোষ্ঠী, যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের প্রতি যত্নশীল হতে বলেছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে শিক্ষায় নানা রূপান্তরের কাজের সূচনা হয়েছে।

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ রূপান্তরের এই সূচনার ভিতগুলো রচনা করে দিয়েছিলেন। সদ্যঃসাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে শিক্ষা পরিবারের সবাই এ বিষয়ে কাজ করেছি। এই চ্যালেঞ্জ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা গত পাঁচ বছর দেখেছি শিক্ষার সব কাজেই একটা ধারাবাহিকতা থাকে। ফলে এখানে নতুন করে বা হঠাৎ করে কোনো কিছু চিন্তা করার অবকাশ খুবই কম।

সেই ধারাবাহিকতার মধ্যেই রূপান্তর, স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব।
নওফেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা ইনস্টিটিউট পর্যায়ে গবেষণার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য আমাদের পুরো শিক্ষা পরিবার নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। প্রাথমিক থেকে নিম্নমাধ্যমিকে উত্তরণ করা শিক্ষার্থীর যদি মাধ্যমিক পর্যায়ে যেতে কষ্ট হয়, সেখানে গবেষণার জন্য শুধু আলোচনা করে সর্বোচ্চ ইম্পেক্ট পাওয়া কঠিন হবে।

এই লক্ষ্য নিয়েই নতুন শিক্ষাক্রমের কাজ হয়েছে। শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা থাকা স্বাভাবিক। যেখানে দুর্বলতা বা সমস্যা থাকবে তা সংশোধন করা হবে। মূল্যায়ন নিয়ে যে সমালোচনা আছে, এটা যেন প্রতিবন্ধকতা হিসেবে পরিণত না হয়। এখানে রাজনৈতিক নেতাদের ও শিক্ষাবিদদেরও অনেক মতামত আছে। আগামী দিনগুলোতে শিক্ষা পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।

শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতার বিষয়ে চাকরিদাতাদের অনেক ইনপুট আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য তারা শিক্ষার্থীদের কোন কোন দক্ষতা প্রত্যাশা করে সেগুলো আমাদের অবশ্যই থাকতে হবে।

 

এস

সম্পর্কিত বিষয়:

×