এনটিআরসিএ
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের কর্মস্থলে যোগদান কিন্তু শেষ মুহূর্তে আটকে আছে এক প্রার্থীর রিটের কারণে। নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা।
রিটের পর নিয়োগে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে আদালতে শুনানি না হওয়ায় নিয়োগ দিতে পারছে না এনটিআরসিএ। সকলের মনে প্রশ্ন তবে কী এ বছর শেষ হচ্ছে না নিয়োগপ্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন :দুঃসংবাদ, এমপিও বন্ধের শঙ্কায় যেসব শিক্ষক
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএর একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন, আমরা নিয়োগ কার্যক্রম সব গুছিয়ে নিয়েছি। ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই নিয়োগ দিতাম। কিন্তু এক প্রার্থীর রিটের কারণে সব থমকে আছে। নিয়োগপ্রার্থীদের মতো আমরাও আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি।
তিনি আরও বলেন, রিটের দ্রুত শুনানির জন্য এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে চেম্বার জজের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এখন আমরা আদালতের আদেশের অপেক্ষায় আছি। যেহেতু আদালত ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, তাই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছুই করার নেই। যেহেতু এটি অনেক বড় নিয়োগ এবং স্কুল ও কলেজে অনেক শিক্ষক পদ শূন্য। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় আদালত দ্রুত আদেশ দেবেন বলে আশা করছি।
এদিকে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়া একজন বলেন, আমরা ৪ সেপ্টেম্বর আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য এনটিআরসিএ অফিসে যাই। তখন আমাদের বলা হয়েছিল মামলা জটিলতা কেটে গেলে চূড়ান্ত সুপারিশ দেবে। চূড়ান্ত সুপারিশ না পাওয়ায় আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছি। দ্রুত চূড়ান্ত সুপারিশ না পেলে প্রাথমিকভাবে সুপারিশপ্রাপ্তরা আবার এনটিআরসিএর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।
এমএম