শিক্ষা দপ্তর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। এরই মধ্যে সিসি ক্যামেরা বসাতে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা মঞ্জুর করল শিক্ষা দপ্তর।
নবান্ন সূত্রে খবর, বিষয়টি অর্থ দপ্তরের বিচারাধীন ছিল। অর্থ দপ্তর সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার ফলে এই অর্থ বরাদ্দে কোনো বাধা রইল না।
জানা গেছে, মোট ৩৭ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৪ টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:ইমরান খানের ১৪ বছরের জেল হতে পারে
অর্থ দপ্তরের সূত্রে খবর, মৌখিকভাবে তারা অর্থ মঞ্জুর করার বিষয়টিতে অনুমোদন দিয়েছে। এখনও কিছু প্রশাসনিক প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। তবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ কবে থেকে শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র মারা গেছেন ২০ দিন হলো। অথচ ক্যাম্পাসে নজরদারির জন্য এখনও পরিকল্পনা মাফিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি যাদবপুরে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল উঠতেই মঙ্গলবার তারা পাল্টা দায় ঠেলেন সরকারের দিকে।
এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, আমরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আমরা তো আর সিসি ক্যামেরা লাগাতে পারি না। একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেটি সরকারি সংস্থা। এবার তারা কী করছে, কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগাতে প্রাথমিকভাবে প্রায় এই পরিমাণ টাকাই খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা।
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তার অভাব নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি জবাবও তলব করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।
অভিযোগ ওঠে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ইউজিসির যে নির্দেশ রয়েছে, তা যাদবপুরে মানা হয়নি।
গত বুধবার উপাচার্য জানিয়েছিলেন, যাদবপুরে কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি চলবে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। ওয়েবেলের মতো নামী সংস্থা টালবাহানা করবে কি করবে না, সেটা তো আমাদের দেখার কথা নয়। জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা একটি কাজের দায়িত্ব দিয়েছি। বিতর্কের আবহে শিক্ষা দপ্তর প্রায় ৩৮ লাখ টাকা মঞ্জুর করায় সিসি ক্যামেরা সংক্রান্ত জট কাটে কি না, তা-ই এখন দেখার বিষয়।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এসআর