ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

জবি শিক্ষার্থী শাওনের মৃত্যুতে বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ১০ মে ২০২৩

জবি শিক্ষার্থী শাওনের মৃত্যুতে বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ ও ওয়াসার কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আরএফএলের অবহেলার কারনে গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওনের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও শাওনের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুই দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম সাঈদ প্রশাসন বরাবর দুই দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো: যাদের গাফিলতি ও অসতর্কতার কারনে শাওনের মৃত্যু হলো সেই ওয়াসা ও তিতাস কর্তৃপক্ষকে যথোপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিবারের একমাত্র ছেলে হারানো শাওনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে ও কোনো প্রকার গড়িমসি না করে সেটি যত দ্রুত সম্ভব তাদের হাতে তুলে দিতে হবে।

মানববন্ধনে জান্নাত মেহেবুবা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এ দুর্ঘটনার দায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেনা। তাদের অসাবধানতার জন্য আমাদের ভাইকে হারাতে হল। আমরা এর বিচার ও শাওনের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাই।’

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ধূপখোলার গ্যাস বিষ্ফোরণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাওন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। আমরাও চাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করতে। মামলার জন্য সকল প্রস্তুতি আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। আমরা শাওনের চাচার সঙ্গে কথা বলেছি। ওর বাবা-মায়ের এনআইডি আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। কুরিয়ারের মাধ্যমে ওকালতনামা ওদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। স্বাক্ষর করে আমাদের কাছে আজই পাঠানোর কথা রয়েছে। তারপরই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করবো।

উল্লেখ্য, গত ১ মে সকালে রাজধানী পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে রাস্তার থাকা গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সময় তিনি ধূপখোলায় বাজার করতে গিয়েছিলেন। এতে শাওন দগ্ধ হয়ে শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে সেদিন থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় গত ৬ই মে সকালে শাওনের মৃত্যু হয়।

 

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×