ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহিতা চায় ইবি ছাত্রলীগ

ইবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ৯ মে ২০২৩

শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহিতা চায় ইবি ছাত্রলীগ

স্মারকলিপি প্রদান

শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বের ব্যপারে জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ ৩৩ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (৯ মে) বেলা ১টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে উপাচার্যের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। 

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আমরা অনেক সময় দেখি যে ইভিনিং কোর্স করাতে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। কিন্তু অন্যান্য দিনে দেখা যায় যে হয় তারা ছুটিতে থাকে। নাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই বা শিক্ষার্থীদের লাঞ্চের পরে যেতে বলে। কেউ কেউ দুপুরেই চলে যায়। তাদের সরকার বেতন দেয় শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়ার জন্য। তাহলে শিক্ষার্থীরা সেবা বঞ্চিত হবে কেন?

এদিকে বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন করেন। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি আকস্মিকভাবে বিভিন্ন প্রশাসনিক অফিস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি অফিস কার্যক্রম, অফিসের কর্মপরিবেশ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির খোঁজ-খবর নেন।

পরিদর্শনকালে উপাচার্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে যথাযথ ভূমিকা পালনের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টার মধ্যদিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকুরী বিধি মেনে সময়ানুবর্তিতা, সততা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, আবাসিক হলের লাইব্রেরিতে মানসম্মত বই ও পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত, হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, আবাসিক সংকট নিরসন, দ্রুতগতির ওয়াইফাই নিশ্চিত, মেগা প্রজেক্ট দ্রুত বাস্তবায়ন, শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সংকট নিরসন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, প্রাচীর সংস্কার, টিএসসিসিতে নিয়মিত সভা-সেমিনার করা, পরিবহন ভোগান্তি নিরসন, চিকিৎসাকেন্দ্রে মানসম্মত ও জরুরী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস ডিজিটালাইজেশন, ই- ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিশ্চিত, সার্টিফিকেট উত্তোলনের ভোগান্তি নিরসনের লক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত, প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিশ্চিত, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত, নিয়মিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা নিশ্চিত, মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, আবাসিক হলসমূহে মানসম্মত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা, পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত, সবুজ ক্যাম্পাসে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছ লাগানো।

জাতীয় স্থাপনাগুলোর সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত, টিএসসিসি সার্বক্ষণিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সকল শিক্ষার্থীর জন্য সার্বক্ষণিক খোলা রাখা,  সকল শিক্ষার্থীর জন্য আধুনিক স্মার্ট কার্ড নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত জার্নাল ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রকাশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা।

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×