প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। শীঘ্রই এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
পূর্বনির্ধারিত ২৯ ডিসেম্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও ওইদিন সারাদেশের ৫টি পৌরসভা ও ৬৬টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২৯ ডিসেম্বর বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও তা বদলানো হয়েছে। ওইদিন সারাদেশের ৫টি পৌরসভা, ৬৬টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। তাই ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল দশটা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টায় উপজেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ ডিসেম্বর পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে। আর ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথমিক বিদ্যালয়গুলোকে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
জানা গেছে, পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। চারটি বিষয়ে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বরে দুই ঘণ্টার বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রতিটি বিষয় থেকে ১৫টি এমসিকিউ ও একটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বৃত্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হলেও তা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। চলতি বছরও সরকারের এ পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা নেই। তাই প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এমএম