ফারদিন নুর পরশ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশের (২৪) শেষ লোকেশন ছিল কেরানীগঞ্জ। শীতলক্ষ্য নদী থেকে তার লাশ উদ্ধারের পর তার এক বন্ধবী ও বন্ধুসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, তার মোবাইল কললিস্ট দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনের জন্য মাঠে নেমেছে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমেছে।
এদিকে মঙ্গলবার ফারদিনের লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তার মাথায় ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অন্যদিকে এদিন বুয়েটের শহীদ মিনারে সহপাঠী ফারদিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের দুই বন্ধু বুশরা ও শীর্ষ সংশপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ৪ তারিখ বিকেল ৫টার দিকে বুশরা ও পরশের সাক্ষাৎ হয় সিটি কলেজের ওখানে। এরপর তারা রিক্সা করে ইয়ামচা নামে একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করি। সেখান থেকে রিক্সা করে তারা নীলক্ষেতে যেয়ে একটা বই কিনেছে। নীলক্ষেত থেকে রিক্সা করে তারা টিএসসিতে যায়। এই টিএসসি পর্যন্ত যাওয়ার সংগতি পাওয়া গেছে মোটামুটি। এরপর বুশরা বলে যে তাকে রাত দশটার দিকে রামপুরার কাছাকাছি ড্রপ দেওয়া হয়েছে।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সব সিসিটিভি ফুটেজ আমরা এখনো সংগ্রহ করিনি। তবে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার বাবার জিডির পর পুলিশের সব ইউনিট মিলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাকে আমরা জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা জনসন রোডের লোকেশন পেয়েছি। সর্বশেষ কেরানীগঞ্জে লোকেশন পেয়েছি। সে কেন কেরানীগঞ্জ গেল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওসি জানান, বান্ধবীকে নামিয়ে দেয়ার পর সে কোথায় কোথায় গিয়েছে, সে বিষয়ে আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, পরশের মোবাইল ফোনের লোকেশন চেক করে দেখা গেছে, সোমবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিচরণ। কে ওই ফোন ক্যারি করেছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। তিনি বলেন, তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
অপরদিকে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মৃত্যু উদঘাটনের র্যাবের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। ইতোমধ্যে নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন বিকেলে থেকে রাজধানীর যেসব লোকশন থেকে কেরানীগঞ্জ ও নারাগঞ্জ শীতলক্ষ্যার পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুতপূন স্থানে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে গেছে। র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার মঈন জানান, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। অনুসন্ধান চলছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক যা বললেন
আমাদের নারায়নগঞ্জের স্টাফ রিপোর্টার মো. খলিলুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের লাশের সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক নারায়নগ জেনারেল হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শেখ ফরহাদ সাংবাদিকদের জানান, নিহত ফারদিনের মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় সব জাগায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা বুঝতে পেরেছি, এটি অবশ্যই হত্যাকান্ড। ময়নাতদন্ত শেষে দ্রæত প্রতিবেদন দেয়া হবে। এ সময় ময়নাতদন্তের বোর্ডের ডা. শেখ ফরহাদের নেতৃত্বে ডাঃ মফিজউদ্দিন নিপুন ও ডাঃ গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
স্বজনের আহাজারি
ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সামনে তার ছেলে ফারদিন নুর পরশের লাশের জন্য অপেক্ষা করার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় তিনি বলেন, আমি আমার সন্তানকে ফিরে পাবো না। বিচার হোক, এটি আমরা চাই। মেধাবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ হোক। শত্রæতার বশত ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত কাজী নূরউদ্দিন বলেন, গত ৪ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে রাজধানির ডেমরা থানার শান্তিবাগ কোনাপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোাঁজ হন বাংলাদেশ ছেলে ফারদিন। ঢাকায় গিয়ে এক বান্ধবীর সাথে দেখা করে তার সাথে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করেন ফারদিন। রাত এগারোটা পর্যন্ত ওই বান্ধবীর সঙ্গেই ছিলেন পরশ। পরে সায়েন্সল্যাবরোটরী থেকে ধানমন্ডির এক রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেয়ে টিএসসিতে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর রামপুরা বিটিভি অফিসের সামনে ওই বান্ধবীকে এগিয়ে দিয়ে তার কাছ থেকে বিদায় নেন। এরপর থেকে পরশের আর কোন খবর পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে পরশ বাসায় ফিরে না আসায় থানায় রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। তিনি বলেন, ফারদিন কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না।
তার দাবি, শত্রুতার বশত তার ছেলে ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিছুক্ষণ পরপরই ছুটে আসছিলেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে। বলছিলেন, ‘আমার ছেলেটার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। যারা আমার ছেলেকে মারছে, আল্লাহ... তুমি বিচার কইরো। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ফারদিনের মরদেহ বের করা হয় মর্গ থেকে। ছেলের মরদেহ দেখার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবা। তাকে ধরে রাখা আত্মীয়-স্বজনরাও তখন কাঁদছিলেন। মরদেহটি লাশ বহনকারী গাড়িতে ওঠানোর পর স্বজনরা গাড়ির সামনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আহাজারি করে হাসপাতাল থেকে বের হন। পরে মরদেহ নিয়ে তারা রওনা হন বুয়েটের পথে। সেখান থেকে মরদেহ নেয়া হবে ফারদিনের ডেমরার বাড়িতে। তারপর ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকায় ফারদিনের পৈত্রিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বুয়েটের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষে বিদেশ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক হওয়ার। ছেলের মরদেহ নিয়ে নায়ারনগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গের সামনে এ কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফারদিনের বাবা নিহতের ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন। তিনি বলেন, ফারদিন এসএসসি ও এইচএসসিতে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন। ফারদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় ফারদিন তৃতীয় ছিল। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে নেই। সারাক্ষণ পড়াশোনা আর ডিবেট ক্লাবে নিয়ে চিন্তা করত। এবার স্পেনে তার একটি আর্ন্তজাতিক অনুষ্ঠানে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল।
কাজী নূরউদ্দিন বলেন, ওর নিজের ইচ্ছায় বুয়েটে ভর্তি হয়েছে। সে বুয়েটের হলে থাকেনি। বাসায় থেকেই লেখাপাড়া করত। ফারদিন ভর্তি হওয়ার পর আমরা ওকে স্বাধীনভাবে লেখাপড়া করতে দিয়েছি। যে ভয়ে ফারদিন বুয়েটের হলে থাকল না এবং আমরাও তাকে হলে থাকতে দিলাম না। অথচ যে ভয়েই আমাদেরকে পেয়ে বসলো। এভাবে একের পর এক মেধাবী ছাত্র যদি হত্যা করা হয় তাহলে দেশ মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন যখন ডানা মেলতে শুরু করল তখন যদি এ ধরণের হত্যাকান্ড হয় তখন আমরা কি করব, কি পাবো। কাজী নূরউদ্দিনের তিন ছেলের মধ্যে সবার বড় ছিল ফারদিন নুর পরশ।
মেজো ছেলে আবদুল্লাহ্ নূর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ছোট ছেলে তামিম নূর এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। নিহত ফারদিন নূর পরশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর থানার কুতুবপুর দেউলপাড়ার নয়ামাটি এলাকার। তার পরিবার ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার শান্তিবাগ এলাকায় বসবাস করছেন। নিহত ফারদিনের চাচাতো ভাই সাইফুল জানান, বুয়েটের মেধবী শিক্ষার্থী ফারদিনের কোন শত্রু আছে বলে আমাদের জানা নেই কিন্তু তারপরও তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে আমরা তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
বুয়েটে ক্যাম্পাসে ফরদিনের জানাজা
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রিপোর্টার জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নারায়নগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে তার লাশ হয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে আনা হয়। বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় বুয়েটের শিক্ষক, তার বন্ধুরা এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন বলেন, পূর্বশত্রæতার জের ধরে আমার ছেলেকে কেউ হত্যা করে থাকতে পারে। এটা হত্যাকাণ্ড ছাড়া কিছুই বলার নেই। কারণ তার দেহে আঘাতের চিহ্ন আছে। তার মরদেহ পচে ফুলে গেছে। আমার ধারণা, তাকে শুক্রবার হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়। তার ব্যবহৃত ফোন, ঘড়ি ও মানিব্যাগ সঙ্গেই পাওয়া গেছে। আমার কোনো শত্রæ আছে বলে মনে করি না। আমি কারও ক্ষতি করিনি। তার সঙ্গে কারও দ্ব›দ্ব ছিল না। আমি এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাই।
বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, সে শনিবার পরীক্ষায় বসার কথা ছিল, কিন্তু পরীক্ষা দেয়নি। তারপরই আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলি এবং বিভিন্ন থানায় বিষয়টি জানিয়ে রাখি। বুয়েট পরিবারের জন্য এটা খুবই মর্মান্তিক একটা ঘটনা। প্রকৃত ঘটনা আমরা এখনো জানি না, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
ফারদিনের বড় চাচা কে এম মহিউদ্দিন বাবু বলেন, বাসা থেকে রামপুরায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। পরদিন তার পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিষয়টি জানানো হয়। তখন ৫ তারিখ রাত ১১টার দিকে পরিবার রামপুরা থানায় গিয়ে জিডি করে। রাত ১০টা পর্যন্ত তার মোবাইল ফোন চালু ছিল।
পরিবারের পক্ষ থেকে কারও প্রতি সন্দেহ আছে কি না জানতে চাইলে কে এম মহিউদ্দিন বাবু বলেন, সন্দেহ নেই কারও প্রতি। আমাদের জানামতে, তার সঙ্গে কারও কোনো শত্রæতা নেই। পরিবারের বড় সন্তান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগামী মাসে জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল। আমরা এই হত্যার পেছনে জড়িতদের বিচার চাই। তার সঙ্গে কী হয়েছে এটা তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানাই। আমার ভাতিজা শুধু পরিবারের না, দেশের সম্পদ। সে অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তার হত্যার বিচার চাই। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেউলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে ফারিনের লাশ দাফন করা হয়। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি বুয়েট শিক্ষার্থীদের
জানাজা শেষে ফারদিন নূর পরশ ‘হত্যার’ সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বুয়েটের শহীদ মিনারে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে ফারদিনের সহপাঠীরাসহ বুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের ভাষ্য থেকে স্পষ্ট যে এটা একটা হত্যাকাণ্ড। আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচারের দাবি জানা”িছ। এই ব্যাপারে প্রশাসন এবং মিডিয়াসহ সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। ফারদিন ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত মেধাবী এবং নির্ঝঞ্জাট একজন মানুষ ছিল।
সোমবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের শীতলক্ষ্যা নদীর বনানী ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় নৌ-থানা পুলিশ। সন্ধ্যায় ফারদিনের স্বজনরা এসে লাশটি সনাক্ত করেন।
এসআর