ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিতর্ক: তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ১৬:০৫, ৮ নভেম্বর ২০২২

এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিতর্ক: তদন্ত কমিটি গঠন

বিতর্কিত এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্র 

চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার প্রশ্নে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তদন্ত কমিটিতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানীকে প্রধান এবং একই শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ও উপ-কলেজ পরিদর্শককে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠাবে যশোর শিক্ষা বোর্ড।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আহসান হাবীব বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রে প্রশ্ন যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মডারেট করা হয়। সে কারণে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। সেই সঙ্গে শোকজও করা হবে। 

এর আগে গত ৬ নভেম্বর সারাদেশে এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ১১ নাম্বার প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিস বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’

এমএইচ

×