ক। শব্দের অর্থগুলো জেনে নেই :
১) টহল - পাহারা দেওয়া
২) আসন - নিকট
৩) অবধারিত - অনিবার্য, নির্ধারিত
৪) রক্তস্রোতে - রক্তের প্রবাহে
৫) রঞ্জিত - রাঙানো
৬) শায়িত - শুয়ে আছে এমন
৭) সহায়তা - সাহায্য
৮) দমবার - থেমে যাওয়ার
৯) প্রতিপক্ষ - শত্রুপক্ষ
১০) কৌশল - উপায়
১১) যুদ্ধ - লড়াই
১২) নির্দেশ - হুকুম
১৩) অসীম - সীমাহীন
১৪) যোদ্ধা - সৈনিক
১৫) দুঃসাহস - অত্যধিক সাহস
১৬) সীমান্ত - সীমার শেষ
১৭) ফাঁড়ি - চৌকি, ঘাঁটি
১৮) প্লাটুন - অল্প সংখ্যক সৈন্য
খ) শূন্যস্থান পূরণ কর :
১) ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখের দলে ছিলেন অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা-।
উত্তর: নান্নু মিয়া
২) নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে - সেদিন এভাবেই রক্ষা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন।
উত্তর: নুর মোহাম্মদ শেখ
৩) ল্যান্সনায়েক মুন্সী আবদুর রউফ -সালের - মে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানার সালামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
উত্তর: ১৯৪৩, ৮ই
৪) খুলনা - কাছেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বীরশ্রেষ্ঠ -।
উত্তর: শিপইয়ার্ডের, রুহুল আমিন
গ) বিপরীত শব্দগুলো জেনে নেই :
১) দুরন্ত - শান্ত ৭) নিজের - অন্যের
২) অসীম - সসীম ৮) দিন - রাত
৩) সুনাম - দুর্নাম ৯) মৃত্যু - জন্ম
৪) বীর - কাপুরুষ ১০) বাঙালি - অবাঙালি
৫) জয় - পরাজয় ১১) শত্রুবাহিনী - মিত্রবাহিনী
৬) জীবন - মরণ ১২) শুরু - শেষ
ঘ) যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে বাক্য তৈরি করি:
১) স্ত = স্্ + ত - পশ্চিম দিকে সূর্য অস্ত যায়।
২) প্র = প্্ + ্র (রফলা) - প্রভাতে সূর্য ওঠে ।
৩) স্ব = স্ + ব - মিমির গলার স্বর বেশ মিষ্টি।
৪) ল্প = ল্্ + প - স্বল্পসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু ছিল অবধারিত।
৫) স্ট = স ্্+ ট - আমরা রেল স্টেশনে গেলাম।
৬) ষ্ণ = ষ + ণ - কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং লাল।
৭) ন্স = ন ্্+ স - মুন্সী আবদুর রউফ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ।
ঙ) ক্রিয়াপদের চলিত রূপটি জেনে নেই :
১) করিতে - করতে
২) দেখিয়া - দেখে
৩) বুঝিতে - বুঝতে
৪) বদলাইয়া - বদলে
৫) উঠিলেন - উঠলেন
৬) পরিলেন - পারলেন
৭) লাগিল - লাগল
চ) প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেই:
প্রশ্ন : ১) নুর মোহাম্মদ শেখ যুদ্ধের সময় কী কৌশল অবলম্বন করেছিলেন ৩টি বাক্যে লেখ।
উত্তর: নুর মোহাম্মদ শেখ যুদ্ধে গুলি চালানোর সময় বারবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছিলেন। তিনি পাকিস্তানী সেনাদের এমন ধারণা দিতে চাইছিলেন যে, এক সাথে অনেক মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছেন। সংখ্যায় কম ছিলেন বলেই তিনি ঐ কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। তা না হলে সবার বিপদ হতো।
প্রশ্ন : ২) নুর মোহাম্মদ শেখ কীভাবে নিজের জীবন তুচ্ছ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাঁচিয়েছিলেন?
উত্তর: নুর মোহাম্মদ শেখ তার তার সাথি মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী সেনাদের দ্বারা আক্রান্ত হন। যুদ্ধরত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া শত্রুর গুলিতে আহত হন। এ সময় নুর মোহাম্মদ নান্নু মিয়াকে এক হাতে কাঁধে নিয়ে অন্য হাত দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকেন। এক পর্যায়ে মর্টারের গোলার আঘাতে তাঁর পা চূর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে যায়। মৃত্যু আসন্ন বুঝতে পেরে নান্নু মিয়াকে সাথি মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়ে সবাইকে পিছু হটতে নির্দেশ দেন। আর গুলি চালাতে চালাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। এভাবে নিজের জীবন তুচ্ছ করে নুর মোহাম্মদ শেখ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাঁচিয়েছিলেন।
প্রশ্ন : ৩) ল্যান্সনায়েক মুন্সী আবদুর রউফের যুদ্ধের ঘটনাটা লিখ।
উত্তর: পাকিস্তানী সৈন্যদের বিরুদ্ধে অকুতোভয় বীরের মতো লড়াই করেন বীরশ্রেষ্ঠ্র ল্যান্সনায়েক মুন্সী আবদুর রউফ। একাত্তরের ৮ই এপ্রিল মহালছড়ির কাছে বুড়িঘাট এলাকার চিংড়ি খালের দুই পাশে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁদের উদ্দেশ্য পাকিস্তানী নৌ - সেনাদের ওপর আক্রমণ করা। কিন্তু পাকিস্তানীরা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের তুলনায় সংখ্যায় অনেক বেশি। মৃত্যু অবধারিত জেনেও অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকিস্তানীরা । এরকম এক মুহূর্তে হঠাৎ একটা গোলা এসে পড়ে মুন্সী আবদুর রউফের ওপর। এতে শহীদ হন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
প্রশ্ন : ৪) ‘দেশের এ বীর শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গর্বিত আমরা’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আলোচ্য অংশটুকু ‘বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ’- রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের ফলেই স্বাধীন বাঙলার জন্ম, যার জন্য আমরা চির গর্বিত- এই অর্থে উক্তিটি করা হযেছে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি। এই অর্জন খুব সহজে হয়নি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও আত্মদানের ফলেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে দেশের জন্য প্রাণপণ লড়েছেন। তাঁদের এ অবদান বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের। বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মদানে বাঙালি জাতি চিরগর্বিত।