১) শব্দের অর্থগুলো জেনে নেইঃ
(ক) অপার-অগাধ, অসীম।
(খ) সম্ভার-বিভিন্ন উপাদান, বিভিন্ন জিনিস,
(গ) রয়েল-রাজকীয়
(ঘ) ভয়ঙ্কর-ভীষণ, ভীতিজনক, অত্যন্ত।
(ঙ) অমূল্য-যার মূল্য নির্ধারণা করা যায় না।
(চ) বিলুপ্তপ্রায়-যা লোপ পাওয়ার কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে।
(ছ) সঙ্গে-সাথে।
(জ) রাজকীয়-জাঁকজমকপূর্ণ।
(ঝ) পরিচ্ছন্ন-পরিস্কার।
(ঞ) স্যাঁতসেঁতে-প্রায় ভেজা।
(ট) বিপর্যয়-অনাকাঙ্খিত ব্যাপক পরিবর্তন।
(ঠ) জঙ্গল-বন।
(ড) কৃষক-কৃষি কাজ করেন যিনি।
(ঢ) বিক্রি-বেচা।
(ণ) সকালে-দিনের প্রথম ভাগে।
(ত) চিরে-ফেড়ে।
(থ) দুঃখ-কষ্ট, শোক।
(দ) চিৎকার-কোলাহল।
(ধ) দিন-দিবস।
২) বিপরীত শব্দগুলো জেনে নেই ঃ
(ক) দক্ষিণ-উত্তর
(খ) সুন্দর-কুৎসিত
(গ) বিশাল-ক্ষুদ্র
(ঘ) অনেক-অল্প
(ঙ) ধ্বংস-সৃষ্টি
(চ) উপরে-নিচে
৩) যুক্তবর্ণ গুলো ভেঙ্গে তা দিয়ে বাক্য তৈরি করিঃ
(ক) শ ¦= শ ্+ ব = ভাদ্র ও আশ্বিন মাস মিলে হলো শরৎকাল।
(খ) ঙ্গ = ঙ্ + গ = সৃষ্টিকর্তা সবার মঙ্গল করুক।
(গ) ন্ড = ণ ্+ ড = সুন্দরবনে অনেক গন্ডার রয়েছে।
(ঘ) ক্ষ = ক ্+ ষ = আমাদের বাড়িতে আটটি কক্ষ আছে।
(ঙ) ম্ভ = ম্ + ভ = নিয়মিত পড়ালেখা করলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
(চ) চ্ছ = চ ্+ ছ = পরিচ্ছন্নতা ইমাণের অঙ্গ।
(ছ) ক্ষ = হ্ + ম = ব্রহ্মপুত্র একটি নদীর নাম।
৪) শব্দগুলো কোনটি কোন পদ জেনে নেইঃ
(ক) শকুন - বিশেষ্য পদ
(খ) ক্ষতিকর - বিশেষণ পদ
(গ) সে - সর্বনাম পদ
(ঘ) খায় - ক্রিয়াপদ
(ঙ) ছাড়া - অব্যয় পদ
৫) প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেইঃ
(ক) ক্যাঙ্গারু ও সিংহ বললেই কোন কোন দেশের কথা মনে হয়?
উত্তর ঃ ক্যাঙ্গারু বললেই অস্ট্রেলিয়া এবং সিংহ বললেই আফ্রিকার কথা মনে হয়।
(খ) বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে তুমি যা জানো লেখ।
উত্তর ঃ বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হলো-
(i) রয়েল বেঙ্গল টাইগার ঃ বাঘদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ বাঘের আবাসনস্থল সুন্দরবন। গায়ে ডোরাকাটা দাগ আছে। এ বাঘ দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি ভয়ঙ্কর।
(ii) চিতাবাঘ ঃ সবচেয়ে দ্রুতগতির বাঘ হলো চিতাবাঘ। এছাড়া এই বাঘের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এরা গাছে উঠতে পারে, যা অন্যান্য বাঘ পারে না।
(iii) ওলবাঘ ঃ এক সময় অন্যান্য বাঘের পাশাপাশি সুন্দরবনে ওলবাঘ নামে এক জাতীয় বাঘ ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ ধরনের বাঘ আর দেখা যায় না।
(গ) দেশের জন্য পশুপাখি, জীবজন্তু কী উপকার করে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর ঃ পশুপাখি ও জীবজন্তু দেশের অমূল্য সম্পদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশকে নানা প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষার পেছনে এসব প্রাণিকুলের অবদান রয়েছে। একটি দেশের ঐতিহ্য রক্ষায় কোন কোন প্রাণীর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। যেমন-রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে বাংলাদেশ, ক্যাঙ্গারুর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া এবং সিংহের নাম বললেই আফ্রিকার কথা মনে পড়ে যায়।
(ঘ) শকুন কীভাবে মানুষের উপকার করে?
উত্তর ঃ শকুন আমাদের চারপাশের যাবতীয় অখাদ্যকে নিজের খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করে। মানুষের পক্ষে যা কিছু ক্ষতিকর, সেইসব আবর্জনা খেয়ে শকুন আমাদের চারপাশ বসবাসের উপযোগী রাখে। এভাবে নোংরা আবর্জনা দূর করে শকুন মানুষকে উপকার করে।
(ঙ) পশুপাখি-জীবজন্তু না থাকলে প্রকৃতির কী বিপর্যয় ঘটবে?
উত্তর ঃ গাছপালার মতোই বন্য পশুপাখি-জীবজন্তু স্বাভাবিক পরিবেশে রক্ষার জন্য অপরিহার্য। পৃথিবীতে কোন প্রাণীই অপ্রয়োজনীয় নয়, কোন না কোনভাবে তারা পরিবেশের ভারসাম্যা রক্ষায় অবদান রাখে। যেমন শকুন মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর সেইসব আবর্জনা খেয়ে পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখে। কেঁচো মাটির উর্বরতা বাড়ায়। পৃথিবীতে পশুপাখি- জীবজন্তু না থাকলে পরিবেশের ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটবে। ফলে দেখা দেবে নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এসবের কারণে পৃথিবীতে মানুষের জীবনধারণ হুমকির মধ্যে পড়বে বলে আমার মনে হয়।
(চ) সুন্দরবনের প্রাণীদের বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার ৪টি পরামর্শ লেখ।
উত্তর ঃ সুন্দরবনের প্রাণীদের বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে চারটি পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো-
(i) অবাধে পশুপাখি ও জীবজন্তু শিকার বন্ধ করতে হবে।
(ii) প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্ধের জন্য নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে।
(iii) প্রাণীদের জন্য অভয়ারণ্য সৃষ্টি করতে হবে।
(iv) জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।