ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ষষ্ঠ শ্রেণির লেখাপড়া -বিষয় : বিজ্ঞান

প্রকাশিত: ২১:০৯, ২৮ আগস্ট ২০২১

ষষ্ঠ শ্রেণির লেখাপড়া -বিষয় : বিজ্ঞান

অধ্যায় : তৃতীয় (উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন) ক) সঠিক উত্তরটি জেনে নেই : ১। একটি কোষ দ্বারা গঠিত জীব কোনটি? ক) অ্যামিবা খ) নস্টক গ) শৈবাল ঘ) ব্যাকটেরিয়া উত্তর : ক) অ্যামিবা। ২) প্রোটোপ্লাজম কোথায় থাকে? ক) মৃত কোষে খ) জীবন্ত কোষে গ) দেহকোষে ঘ) জনন কোষে উত্তর : খ) জীবন্ত কোষে ৩) জীবদেহের গঠনের একককে বলা হয়- ক) ক্লোরোপ্লাস্ট খ) কলা গ) কোষ ঘ) অঙ্গ উত্তর : গ) কোষ ৪। অ্যামিবা বা ক্লোরেলা জীবটি কয়টি কোষ দ্বারা গঠিত? ক) ২টি খ) ৪টি গ) ১টি ঘ) অসংখ্য উত্তর : ১টি ৫) প্রকৃত কোষ কত প্রকার? ক) ২ প্রকার খ) ৩ প্রকার গ) ৪ প্রকার ঘ) ৫ প্রকার উত্তর : ক) ২ প্রকার ৬) দেহ কোষ দেহের কী কাজে অংশগ্রহণ করে? ক) কোষের আকার প্রদানে গ) প্রজননে খ) গঠন ও বৃদ্ধিতে ঘ) পানির সরবরাহে উত্তর : খ) গঠন ও বৃদ্ধিতে। ৭) প্রোটোপ্লাজম কোথায় থাকে? ক) মৃত কোষে গ) জীবিত কোষে খ) পরিণত কোষে ঘ) কোনোটিই নয় উত্তর : গ) জীবিত কোষে। ৮) নিচের কোনটি প্রোটোপ্লাজমের অংশ? ক) কোষপ্রাচীর গ) প্লাস্টিড খ) কোষঝিল্লি ঘ) কোষগহব্বর উত্তর : খ) কোষঝিল্লি ৯) কোষ প্রাচীরের ছিদ্রকে বলা হয়- ক) কোষ গহব্বর গ) সেন্ট্রিওল খ) কূপ ঘ) নিউক্লিওলাস উত্তর : খ) কূপ। ১০) কোনটিকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়? ক) সাইটোপ্লাজম গ) প্রোটোপ্লাজম খ) প্লাস্টিড ঘ) ক্লোরোলাস্ট উত্তর : গ) প্রোটোপ্লাজম ১১) সালোকসংশ্লেষণ কোথায় সম্পন্ন হয়? ক) কোষঝিল্লিতে গ) কোষপ্রাচীরে খ) সাইটোপ্লাজমে ঘ) সেন্ট্রোসোমে উত্তর : খ) সাইটোপ্লাজমে। ১২) প্লাস্টিড কী? ক) এক ধরনের রং বা বর্ণ কণিকা খ) কোষের জলীয় অংশ গ) প্লাস্টিড কোষের অঙ্গাণু ঘ) নরম ও পাতলা পর্দা যা কোষকে ঘিরে রাখে উত্তর : ক) এক ধরনের রং বা বর্ণ কণিকা ১৩) কোনটি কোষের জড় অংশ? ক) কোষপ্রাচীর গ) মাইটোকন্ড্রিয়া খ) কোষ আবরণী ঘ) প্রোটোপ্লাজম উত্তর : ক) কোষপ্রাচীর ১৪) প্রোটোপ্লাজমে পানির পরিমাণ শতকরা কত ভাগ? ক) ৭০-৯০ ভাগ গ) ৬০-৭০ ভাগ খ) ৭৫-৯৫ ভাগ ঘ) ৭০-৯৫ ভাগ উত্তর : গ) ৭৫-৯৫ ভাগ ১৫) কোষরসের আধার হিসেবে কাজ করে- ক) সাইটোপ্লাজম খ) প্রোটোপ্লাজম গ) কোষগহব্বর ঘ) নিউক্লিয়াস উত্তর : গ) কোষগহব্বর। ১৬) নবীন কোষে নিউক্লিয়াসের অবস্থান কোথায়? ক) কোষের প্রান্তে খ) কোষের শেষে গ) কোষের কেন্দ্রে ঘ) কোষের মধ্যে উত্তর : গ) কোষের কেন্দ্রে ১৭) কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কোনটিকে? ক) নিউক্লিয়াস গ) ক্রোমোসোম খ) রাইবোসোম ঘ) মাইটোকন্ড্রিয়া উত্তর : ক) নিউক্লিয়াস ১৮) নিউক্লিয়াসের ভিতরের তরল ও স্বচ্ছ পদার্থটিকে কী বলে? ক) নিউক্লিওপ্লাজম গ) ক্রোমাটিন তন্তু খ) নিউক্লিয় আবরণী ঘ) নিউক্লিওলাস উত্তর : ক) নিউক্লিওপ্লাজম ১৯) কতকগুলো কোষ একত্রিত হচ্ছে যখন একই ধরনের কাজ করে তখন তাকে কী বলে? ক) কলা বা টিস্যু খ) কোষঝিল্লি গ) প্লাস্টিড ঘ) প্রোটোপ্লাজম উত্তর : ক) কলা বা টিস্যু ২০) কচি জাম সবুজ থেকে লাল বর্ণ ধারণ করলে কী বলে? ক) ক্রোমোপ্লাস্ট খ) লিউকোপ্লাস্ট গ) ক্লোরোপ্লাস্ট ঘ) বর্ণাধার উত্তর : ক) ক্রোমোপ্লাস্ট খ) নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেই : ১) কোষ ঝিল্লি কী? উত্তর : সম্পূর্ণ প্রোটোপ্লাজমকে ঘিরে যে নরম পর্দা দেখা যায় তাকে কোষ ঝিল্লি বা সেল মেমব্রেন বলে? ২) নিউক্লিয়াস কী? উত্তর : প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান গোলাকার ঘন বস্তুটিই হলো নিউক্লিয়াস। ৩) কোষ কী? উত্তর : কোষ হলো জীবদেহের গঠন ও কাজের একক। ৪) নিউক্লিওলাস কী? উত্তর : নিউক্লিয়াসের ভেতরে বিন্দুর ন্যায় অতিক্ষুদ্র যে অঙ্গাণুটি ক্রোমাটিন তন্তুর সাথে লেগে থাকে সেটিই হলো নিউক্লিওলাস। ৫) নিউক্লিওপ্লাজম কী? উত্তর : নিউক্লিয়াসের ভিতরের তরল ও স্বচ্ছা পদার্থটিই হলো নিউক্লিওপ্লাজম। ৬) নিউক্লিয়াস প্রধানত কয়টি অংশ নিয়ে গঠিত? উত্তর : নিউক্লিয়াস প্রধানত ৪টি অংশ নিয়ে গঠিত। ৭) নিউক্লিয় আবরণীর মূল কাজ কি? উত্তর : সাইটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়াসের ভেতরের বস্তুগুলোকে আলাদা করে রাখাই নিউক্লিয় আবরণীর মূল কাজ। ৮) বর্ণহীন প্লাস্টিডকে কী বলে? উত্তর : বর্ণহীন প্লাস্টিডকে লিউকোপ্লাস্ট বলে। ৯) আদি কোষ কী? উত্তর : সংগঠিত কেন্দ্রিকাবিহীন কোষকে আদি কোষ বলে? ১০) প্রকৃত কোষ কী? উত্তর : যে কোষের কেন্দ্রিকা সংগঠিত তাকে প্রকৃত কোষ বলে। ১১) ক্লোরোপ্লাস্ট কোন ধরনের উদ্ভিদে থাকে? উত্তর : ক্লোরোপ্লাস্ট সবুজ উদ্ভিদে থাকে। ১২) কলা বা টিস্যু কী? উত্তর : অনেকগুলো কোষ যখন একত্রিত হয়ে একই ধরনের কাজ করে তখন তাকে কলা বা টিস্যু বলে। ১৩) ক্রোমোসোম কী? উত্তর : কেন্দ্রিকার ভেতরে সুতার ন্যায় কু-লী পাকানো বা খোলা অবস্থায় যে অঙ্গাণুটি রয়েছে তাই ক্রোমোসোম। ১৪) প্রাণী কোষের উল্লেখযোগ্য ২টি বৈশিষ্ট্য লেখ। উত্তর : প্রাণী কোষের উল্লেখযোগ্য ২টি বৈশিষ্ট্য হলো- i) কোষে কোষপ্রাচীর থাকে না, শুধু প্লাজমাঝিল্লি দিয়ে বেষ্টিত। i i) কোষে সর্বদা সেন্ট্রোসোম থাকে। ১৫) উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের ৪টি পার্থক্য লেখ। উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষের ৪টি পার্থক্য নিম্নে দেয়া হলো- উদ্ভিত কোষ প্রাণী কোষ i) কোষে কোষ প্রাচীর আছে। i) কোন কোষ প্রাচীর নেই। i i) কোষে অবশ্যই কোষ গহব্বর থাকে। i i) কোষ গহব্বর থাকে না, থাকলেও সেটি ছোট। i i i) প্লাস্টিড থাকে। i i i) প্লাস্টিড থাকে না। iv) সেন্ট্রোসোম থাকে না। iv) সেন্ট্রোসোম থাকে। ১৬) প্লাস্টিড উদ্ভিদ কোষের প্রধান বৈশিষ্ট্য- বুজিয়ে লেখ। উত্তর : প্লাস্টিড উদ্ভিদ কোষের প্রধান বৈশিষ্ট্য— পাতা ফুল বা ফলের বিচিত্র রঙের কারণ হলো প্লাস্টিড। সবুজ প্লাস্টিড প্রধানত খাদ্য তৈরি করে। অন্যান্য রঙের প্লাস্টিডগুলো উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গকে রঙিন করে তোলে। এ জন্যই প্লাস্টিডকে বর্ণাধার বলা হয়। ১৭) ক্লোরোপ্লাস্ট সবুজ হয় কেন? উত্তর : সবুজ বর্ণের ক্রোমোপ্লাস্টকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। এটি সবুজ বর্ণের হয়, কারণ ক্লোরোপ্লাস্ট ক্লোরোফিল নামক সবুজ বর্ণকণিকা অধিক মাত্রায় ধারণ করে। এ ছাড়া ক্লোরোপ্লাস্টে অন্যান্য বর্ণকণিকাও কিছু কিছু পরিমানে থাকে। ১৮) উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিভিন্ন অঙ্গ কীভাবে গঠিত হয়? উত্তর : বিভিন্ন ধরনের কোষ ও কলার সমন্বয়ে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহের বিভিন্ন অঙ্গ গঠিত হয়। উদ্ভিদ দেহের মূল, কান্ড, পাতা, ফুল প্রভৃতি এবং প্রাণিদেহের চোখ, নাক, কান, হাত, পা, ফুসফুস প্রভৃতিও এভাবে গঠিত হয়। ১৯) প্রোট্রোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন? উত্তর : প্রোটোপ্লাজম উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের সকল মৌলিক ও জৈবিক কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াসকে একত্রে প্রোটোপ্লাজম বলে। নিউক্লিয়াস কোষের প্রাণকেন্দ্র যা কোষের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জীবনের অস্তিত্ব প্রকাশে সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস সমন্বিত প্রোটোপ্লাজম মূল কোষের প্রতিনিধিত্ব করে। এ জন্যই প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়। ২০) লিউকোপ্লাস্টকে বর্ণহীন অঙ্গাণু বলা হয় কেন? উত্তর : উদ্ভিদের মূল ও ভূনিম্নস্থ কা-সহ যেসব অঙ্গে সূর্যালোক পৌঁছায় না সেসব অঙ্গের কোষে লিউকোপ্লাস্ট থাকে। লিউকোপ্লাস্টকে বর্ণহীন অঙ্গাণু বলা হয়, কারণ এতে রঞ্জক পদার্থ থাকে না আর রঞ্জক পদার্থ না থাকার কারণেই লিউকোপ্লাস্টকে বর্ণহীন। ২১) মাইটোকন্ড্রিয়াকে পাওয়ার হাউসের সাথে তুলনা করা হয় কেন? উত্তর : মাইটোকন্ড্রিয়াতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। শক্তি উৎপাদনের সরল প্রক্রিয়া মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরে ঘটে থাকে। এর ভেতরে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা দিয়ে জীব তার সব ধরনের জৈবিক কাজ-কর্ম পরিচালনা করে। এ জন্য মাইটোকন্ড্রিয়াকে পাওয়ার হাউসের সথে তুলনা করা হয়।
×