
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭ তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শাস্তি পাওয়া দুই শিক্ষক হচ্ছেন-গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাক্তন সভাপতি মুসতাক আহমেদ ও চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেন। এ বছরের আগষ্টে শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাক্তন সভাপতি মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে বিভাগের আয়-ব্যয়ের অনিয়ম ও শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ পর্যালোচনা করে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে পরবর্তী পদোন্নতির তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য পদোন্নতি ও বেতনের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, তিনি এই ৫ বছর কোনো একাডেমিক কার্যক্রম বা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করতে পারবেন না। তার বিভাগের পাওনাদি পত্র ইস্যুর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
অন্যদিকে, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে আনীত নৈতিক স্খলনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ৫৫ (৩) ধারায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম-২ এবং ড. সুজন সেন মনোনীত একজন প্রতিনিধি।
আফরোজা