ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয়

খুদে শিক্ষার্থীদের জুলাই চিত্রায়ণ

রিয়াজ হোসাইন

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ১ মার্চ ২০২৫

খুদে শিক্ষার্থীদের জুলাই চিত্রায়ণ

একজন খুদে শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধের বেশে স্কুল মাঠে পানি বিতরণ করছেন, আর বলছেন, ‘পানি লাগবে, পানি?’ আরেক শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বেশে বুক পেতে দাঁড়িয়ে আছেন। বুকে তার প্রচণ্ড সাহস। মুখে উচ্চারণ করছেন, ‘বুকের ভেতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’ তাদের পেছনে কয়েকজন শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগানে মুখর। তাদের কণ্ঠে স্বাধীনতার কী তেজ! হঠাৎ পুলিশের বেশে তিন শিক্ষার্থীর আগমন ঘটে। খেলনা বন্দুক থেকে গুলির আওয়াজ করতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কয়েকজন। রক্তাক্ত তাদের শরীর, কেউবা গোঙাচ্ছেন। বাঁচার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই, চোখে-মুখে শুধু দেশমাতাকে শিকল ভাঙার অঙ্গীকার! ঠিক এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছিল খুদে শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত ‘জুলাই আন্দোলন’-এর নাটিকায়। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে, খুদেদের কণ্ঠে আবারও শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন।
সম্প্রতি (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এই নাটিকার আয়োজন করা হয়। শুধু নাটিকাই নয়, শিক্ষার্থীরা দৌড়, ব্যাঙ দৌড়, বস্তা দৌড়, পুতুল নাচ, মোরগ লড়াই, হাতি উড়ে পাখি উড়ে, ভারসাম্য দৌড় এবং যেমন খুশি তেমন সাজোসহ বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করে। ব্যাঙ ও বস্তা দৌড় বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিশালকায় ব্যাঙের মতো লাফিয়ে চলছিল খুদে শিক্ষার্থীরা। অনেকে তো বস্তাবন্দি হয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছিল। ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ পর্বও ছিল বেশ মনোমুগ্ধকর। এক শিশু সেজেছে ঠিক পরীর মতো, মাথায় রানী এলিজাবেথের মুকুট, মুখে নদীর কলধারার মতো হাসি। আরেকজন কৃষকের ভঙ্গিতে হেঁটে যাচ্ছেন।অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

×