
রাজনীতি নিষিদ্ধ, ভিসি, প্রো-ভিসির পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসময়ে তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। তবে এসময় ভিসি মো. মাছুদ বাসভবনে ছিলেন না। তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত কয়েক দিনের আন্দোলন, হামলা-মামলার পর শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাস ছিল শান্ত। তবে দুপুর ৩টায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এদিকে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহিন জুনায়েদ সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে অটল রয়েছে তারা। এসব দাবি বাস্তবায়ন না পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
মাহিন জুনায়েদ আরো জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ৮০-৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী হলে রয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে শুক্রবার বিকেলে এক ঘণ্টার আলোকচিত্র প্রদর্শনী করা হয়। পরে আন্দোলনের কর্মসূচি কী হবে, তা নিয়ে শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে ঠিক করবেন।
উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে কুয়েটে গত মঙ্গলবার ছাত্রদলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়।
এর আগে গত ১৯ তারিখ সিন্ডিকেটের জরুরী সভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু দাবী দাওয়া মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া স্থানীয় থানায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকল একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
আফরোজা