ছবি: সংগৃহীত
মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।
রবিবার সন্ধ্যায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের জন্য সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নেয় এবং সড়ক অবরোধ করে রাখে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। এতে মিরপুর সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা দাবি আদায়ের অগ্রগতি জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক মামুন আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, তিনি তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।
অবরোধের পর রাত ১১টার দিকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রোভিসি মামুন আহমেদের বাসভবন ঘেরাও করার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। সংঘর্ষের সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে, সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থানরত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের পাঁচ দফা দাবির ব্যাপারে জানতে গেলে প্রোভিসি আমাদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেন। আমরা দাবি জানাই, তিনি প্রকাশ্যে এসে ক্ষমা চাইবেন।”
এদিকে, সোমবার সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের। সংঘর্ষের এই ঘটনা ও শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/zNCa5c21Uns?si=L2gouMfegcc2EjRr
এম.কে.