বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত মাসব্যাপী ‘ষষ্ঠ জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনী’র সম্মানসূচক পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে ১০ সম্মানসূচকসহ মোট ১৩ টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবার জাতীয় ভাস্কর্য পুরস্কার লাভ করেন ড. আজহারুল ইসলাম শেখ চঞ্চল, দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করেন আবদুল খালেক চৌধুরী এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেন বিলাশ মন্ডল। সম্মানসূচক পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন, অসীম হালদার সাগর, রুপম রায়, অলক কুমার সরকার, আবু সাদায়াত মো. সোহেল, অমিত কোচ, আসফিকুর রহমান, সৈয়দ তারেক রহমান, হাবীবা আখতার পাপিয়া, কনক কুমার পাঠক এবং শ্রাবন্তী মেহেরুন। একই দিনে শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় একাডেমির চিত্রশালা ভবনের ৫নং গ্যালারিতে ভাস্কর্য প্রদর্শনীর ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) ভার্সনেরও উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া ১৫৯ জন শিল্পীর মধ্য থেকে ১০ জনকে সম্মানসূচকসহ মোট ১৩টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শনিবার এবারের ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। ধারাবাহিকভাবে ভাস্কর্যচর্চায় উৎসাহ ও বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ১৯৮২ সালে প্রথম ভাস্কর্য প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। এ বছর ষষ্ঠ বারেরমতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাসব্যাপী জাতীয় পর্যায়ের এ ভাস্কর্য প্রদর্শনী। এবারের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পী সংখ্যা ২১৬ জন, ১৫৯ জন শিল্পীর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৭৮টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসফিকুর রহমান বলেন, এতো বড় মঞ্চে এই সাফল্যে আমি সত্যিই গর্বিত। এই সাফল্য আমাকে আরও বেশি পরিশ্রম করার এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে। এই অভিজ্ঞতা আমার পেশাগত জীবনেও অমূল্য হবে বলে বিশ্বাস করি। আসফিকুর রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে প্রদর্শনী চলবে ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ২০ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত, প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তবে সরকারি ছুটির দিন বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।