ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত ৯টার কিছু পর উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব প্রশাসন ভবনে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে দুই উপ-উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন প্রতিনিধির এই বৈঠকে পোষ্য কোটা বাতিলের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
এর আগে আন্দোলন চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, "জুলাই বিপ্লবের পরে এই পোষ্য কোটার জন্য যে আন্দোলন করা লাগবে, প্রশ্নই আসে না। যারা শিক্ষার্থীদের ১০০% গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এসেছিল, তাদের বিরুদ্ধে আমার যেতে হয়েছে। তারা আমাদের গলা চেপে ধরেছে, আমাদের দিকে ঢিল ছুঁড়েছে, শাবল দিয়ে মারতে এসেছে, হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।"
তিনি বলেন, "তাদের সাথে সকল নিয়ম মেনে ৭-৮ বার বসা হয়েছে। তারপরেও শেষবারের মত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দুইজন প্রতিনিধিকে পাঠাচ্ছি, তারা আমাদের কাছে ওয়াদা করেছে, তারা লাশ হয়ে গেলেও পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত না নিয়ে তারা আসবে না। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, লাশ হয়ে গেলেও কেউ যেন আন্দোলন থেকে সরে না দাঁড়ায়। পোষ্য কোটার মত একটা অযৌক্তিক কোটাকে, এই পরিবারতন্ত্রকে বৈধতা করার একটা রীতিমত যুদ্ধ সৃষ্টি করেছে শিক্ষার্থীদের সাথে।"
বৈঠকের পর উপাচার্য ঘোষণা দেন, “২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাবিতে আর পোষ্য কোটা থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিক নোটিশ দেওয়া হবে। আমার দায়িত্বকালে এই কোটা আর ফিরবে না।”
উপাচার্যের এই ঘোষণার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একটি বিজয় মিছিল বের করে। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের সফল সমাপ্তি উদ্যাপনে তাদের মুখে ছিল স্বস্তি আর বিজয়ের আনন্দ।
এম.কে.