ছবি: সংগৃহীত
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহান এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত হত্যা ও বাড্ডায় লেক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এর আগে রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিলটি বের হয়ে ভিসি চত্বর ও হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে আবারও রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন, যদিও তারা নিজেদের "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" নামে পরিচয় দেননি।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র এবং আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, “যে রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই দেশের রাজপথে আজও বিপ্লবীদের লাশ পড়ে থাকে। আজ যারা ক্ষমতার গদিতে বসে আছেন, তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—এই গদি বিপ্লবীদের অবদানের ফল। জনগণ যে ম্যান্ডেট দিয়ে আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই দায়িত্ব ভুলে গেলে চলবে না।"
তিনি আরও বলেন, “সরকারি প্রশাসন, মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা আজ নীরব। আমরা যখন দেখছি কোনো হত্যার বিচার হচ্ছে না, তখন প্রশ্ন জাগে—সরকার কী করছে? আমরা চাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনা হোক।"
ভূতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র ও আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মাত্র ছয় দিনের ব্যবধানে দুই শিক্ষার্থীসহ একজন অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর মৃত্যু আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম অব্যবস্থাপনা তুলে ধরছে। তাজবির হোসেন শিহান এবং ওয়াজেদ সীমান্তের মতো সম্ভাবনাময় তরুণদের মৃত্যু শুধু জাতির ভবিষ্যৎকেই ধ্বংস করছে না, বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চরম ব্যর্থতাকেও প্রকাশ করছে।"
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ আল মুদাসসির, ফাতেহা শারমিন এ্যানি, নিতু আক্তার এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. মঞ্জু। বক্তারা দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিচারের দাবিতে তাদের আন্দোলন চলবে এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা আর সহ্য করা হবে না।
এম.কে.