ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবি

ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে ১১ দিন ধরে জবি শিক্ষকদের আন্দোলন

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ১২ জুলাই ২০২৪

ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে ১১ দিন ধরে জবি শিক্ষকদের আন্দোলন

১১ দিন ধরে জবি শিক্ষকদের আন্দোলন

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে ১১দিন ধরে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বন্ধ রাখা হয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রমও। 

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে প্রতিদিনের মতো দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত টানা  ১১দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে এই কর্মসূচি চলছে।

এদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। যেসব বিভাগ খোলা হয়েছে, সেগুলোর ক্লাসরুমগুলোতে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। বিভাগে সব শিক্ষকের উপস্থিতিও ছিল না। আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য যেসব শিক্ষক ক্যাম্পাসে এসেছেন, তারা নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান করছেন।

বন্ধ ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও। প্রশাসন কিংবা একাডেমিক দায়িত্বে থাকা কোনো শিক্ষকও তার কর্মস্থলে বসেননি। এমনকি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারি দাপ্তরিক কাজ করেননি। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না।

এ বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের ন্যায্য দাবীসমূহ আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সর্বাত্মক আন্দোলন চলবে। আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন।’ তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনই শিক্ষকদের চলমান বৈষম্য থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।’

জবি শিক্ষক সমিতির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কোনো কনজুমার প্রোডাক্ট তৈরি করে না। এরা শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও দক্ষ মানবম্পদে সপরিনত করে। প্রত্যয় স্কিমে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন সুবিধা যেভাবে কর্তন করা হয়েছে তাতে আগামীদিনে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী এই পেশায় আসবে না। তাতে জাতি হিসেবে আমারা পিছিয়ে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষক থাকলে তার সুফল দেশের প্রতিটি নাগরিক পাবে। আমরা বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের সুবিধা কর্তন করতে পারেন না।’

বারাত

×