ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১

শিক্ষা

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

টানা পাঁচ বছর পর এবারই পূর্ণাঙ্গ রূপে শুরু হলো মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে শুরু হয় এই পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার প্রথম দিন ছিল বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা। এই পরীক্ষার এমসিকিউ সহজ হলেও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন হয়েছে বলে জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষে রাজধানীর ধানমন্ডি গভ: বয়েজ হাই স্কুলের সামনে এ কথা জানায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।  সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হলেও এবার যানজটের কবলে পড়তে হয়নি পরীক্ষার্থীদের। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কের কোথাও দেখা মেলেনি যানজট। ফলে নির্বিঘেœ নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছে পরীক্ষার্থীরা।  করোনার কারণে ২০২১ সালে পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়। সে সময় পিএসসির ফলের ভিত্তিতে রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়। পরীবর্তীতে সীমিত আকারে পরীক্ষা হলেও এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে ও পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে যাচ্ছে। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, স্কলারস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্র ধানমন্ডি গভ: বয়েজ হাই স্কুল। সরেজমিনে এই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষা শেষে অভিভাবকরা কেন্দ্রের গেটের সামনে ভিড় করেছেন। পরীক্ষার্থীরা বের হয়ে তাদের অভিভাবকদের খুঁজে নিচ্ছেন। ভালো পরীক্ষা দেওয়ার তৃপ্তির হাঁসি ফুটে উঠছে তাদের মুখে। কেউ কেউ সহপাঠীর সঙ্গে প্রশ্নের উত্তর মিলিয়ে নিচ্ছে। পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হয়েছে জানতে চাইলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ মাহিম বলে, এমসিকিউ খুবই ভালো হয়েছে। সহজ ছিল। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন ছিল। তবে তারপরও পরীক্ষা ভালো হয়েছে। স্কলারস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী উনাইমা এনহান জানায়, গদ্য অংশ থেকে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন হওয়ায় একটু কঠিন হয়েছে। প্রশ্নগুলোও একটু কঠিন করে করেছে। তবে এমসিকিউ পরীক্ষার প্রশ্ন সহজ ছিল। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান সাকিব বলে, সাধারণত আমরা গল্প, কবিতা, নাটক এগুলো পড়ে থাকি। এগুলো সহজ। কিন্তু প্রশ্ন করা হয়েছে প্রবন্ধ থেকে। এটাকে কঠিন বলব না। তবে আমরা প্রবন্ধে খুব একটা মনোযোগ দেই না দেখে কঠিন মনে হয়েছে। এদিকে গণিত পরীক্ষার পরে ধর্ম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কৃষি পরীক্ষার জন্য কোনো বন্ধ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, কোনো ধরনের বন্ধ ছাড়া টানা চারটি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য চাপ হবে। বিশেষ করে ধর্ম পরীক্ষার আগে একদিন অন্তত বন্ধ প্রয়োজন ছিল। বেসরকারি চাকরিজীবী জুলফিকার আলীর ছেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এই অভিভাবক বলেন, টানা চারটি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাপক চাপ পড়বে। একদিন করে বন্ধ থাকলে তারা রিভিশন দিতে পারতো। এখন টানা পড়ে যেতে হবে। নাইলা জামান নিশি নামের আরেক অভিভাবক বলেন, ইসলাম ধর্ম পরীক্ষায় বড় বড় অনেকগুলো অধ্যায় আছে। শিক্ষার্থীদের জন্য গণিত এখন যতটা না কঠিন, তার চেয়ে কঠিন এই পরীক্ষা। তাই এই পরীক্ষার আগে অন্তত একদিন বন্ধ দরকার ছিল। সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিগত বছরগুলোতে রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজটের দেখা মিললেও এবারের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কের কোথাও দেখা মেলেনি যানজট। ফলে নির্বিঘেœ নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছে পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামলী, আগারগাঁও, বিজয়সরণি, জাহাঙ্গীরগেট, মহাখালী, গুলশান ও বাড্ডা এলাকা ঘুরে যানজটবিহীন ফাঁকা সড়কের চিত্র দেখা গেছে। বেশির ভাগ সড়কে ছিল না গাড়ির চাপ।  এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এসএসসির কেন্দ্রের ২০০ গজে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে বিগত বছরগুলোর মতো পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা পরিবারে সদস্যদের ও অপেক্ষারত নিজস্ব পরিবহনের উপস্থিতির দেখা মেলেনি। ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর সামনে ও আশপাশের সড়কেও ছিল না যানজট। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত বা তত্ত্বীয় অংশ শেষ হবে ১৩ মে। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। এরপর ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, প্রথমদিন বৃহস্পতিবার দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসা বোর্ডের অধীন কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডের বাংলা-২ (দাখিল ও ভোকেশনাল) পরীক্ষা হচ্ছে।  এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ৬০ দিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।  শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, রেওয়াজ অনুযায়ী, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। এ সময় তিনি প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে সাফ জানিয়ে দেন—এবার প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তার ভাষায়, যেসব উৎস থেকে অতীতে প্রশ্নফাঁস হতো, সেগুলো চিহ্নিত করে আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই এবারের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।  পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত রাখতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও গুজব বা কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে, নিরাপদ পরিবেশে পরীক্ষা দিক। তাই যে কোনো ধরনের গুজব কিংবা অসত্য তথ্য থেকে সবাইকে দূরে থাকার আহ্বান জানাই। পরীক্ষা ও ফলাফলের বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, এসএসসি একটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা। তাই আমরা চাই ফল প্রকাশেও স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা বজায় থাকুক।

শিক্ষা বিভাগের সব খবর

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু আজ

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু আজ

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। এদিন সকাল ১০ টায় ১৯ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী সারাদেশে একযোগে পরীক্ষায় বসছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এদিকে, এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নফাঁস ও প্রশ্নফাঁসের গুজব ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর দিন থেকে দেশের সব কোচিং সেন্টার ৩৫ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। লিখিত পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে কোনো ধরনের ফটোকপি মেশিন চালু রাখা যাবে না। তাছাড়া এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের এই তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট পরীক্ষার্থী ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন, ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯জন; এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ৩ হাজার ৬৩ জন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৮১ হাজার ৯০৪ জন; এর মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৬১০ জন এবং ছাত্রী ৮৭ হাজার ২৯৪ জন।

এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে

এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১০ এপ্রিল। এ পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত বা তত্ত্বীয় অংশ শেষ হবে ১৩ মে। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। এরপর ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এবারের এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে নানামুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। গত ১৬ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা এ কথা বলেন। নানামুখী চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টরা। তারই অংশ হিসেবে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি, ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখা এবং লিখিত পরীক্ষা চলাকালীন টানা ৩৪ দিন সারাদেশে সবধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। একগুচ্ছ নির্দেশনা ॥ পরিপত্রে দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিটের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে এলে রেজিস্টারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে; বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার প্রত্যাখ্যান করলেন ইবি শিক্ষার্থী

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার প্রত্যাখ্যান করলেন ইবি শিক্ষার্থী

যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফার প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী। ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম জাকির হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শিক্ষার্থী। সোমবার (৭ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ফোর্ডহ্যাম ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস থেকে সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রামে এম.এস. ভর্তি অফার পেয়েছিলেন। তবে ইসরায়েল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আজ, সম্ভবত আমার একাডেমিক যাত্রার সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি নিয়েছি। আমি সম্মানিত বোধ করেছি ফোর্ডহ্যাম ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রামে এম.এস. এর জন্য ভর্তি অফার পেয়ে। কিন্তু গভীর চিন্তাভাবনার পর এবং গাজায় চলমান মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে, আমি সেই অফারটি বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছি—ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য। আমি বিশ্বাস করি, এমন সময়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তগুলো বিবেক ও ন্যায়ের শক্তিশালী বার্তা বহন করতে পারে। আমার হৃদয় গাজার সঙ্গে।” উল্লেখ্য, সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে জাকিরের একাধিক অর্জন রয়েছে। তিনি একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাইবার সিকিউরিটি প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান অর্জন করেন। এছাড়া তিনি এবং তার দল ‘ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সাইবার ড্রিল ২০২২’-এ দ্বিতীয় রানারআপ হন।

গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে  বিক্ষোভ সমাবেশ

গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বর্বর আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং গাজার নিরীহ জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের আশরাফুল আলম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বখতিয়ার উদ্দিন, সহকারী রেজিস্ট্রার মাহবুবুর রহমান ও নজরুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা গাজায় ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। তাঁরা বিশ্ববাসীকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এবং এই নিপীড়নের দ্রুত অবসান কামনা করেন। অন্যদিকে, একই দিন বাদ জোহর ত্রিশাল গো-হাটা জামে মসজিদ থেকে ত্রিশালের সর্বস্তরের উলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দুপুর বারোটার দিকে ত্রিশালের সর্বস্তরের ছাত্র, তাওহিদী জনতা এবং 'ত্রিশাল হেল্প লাইন'-এর উদ্যোগে পৃথক আরও দুটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সব মিলিয়ে গাজায় চলমান হামলার প্রতিবাদে ত্রিশালজুড়ে জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিসও বন্ধ থাকবে। রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা সোমবারের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার নতুন সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।