ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

রিজার্ভ ছাড়াল ২১ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

রিজার্ভ ছাড়াল ২১ বিলিয়ন ডলার

রিজার্ভ, ডলার।

দেশের রিজার্ভ বেড়ে এখন ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভ ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তা ২৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

রেমিটেন্সের সুবাতাসের ধারা বজায় থাকায় এবং ঋণের অর্থছাড় হওয়ায় এক সপ্তাহের মাথায় এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রির্জাভ বাড়ার তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা।

এর আগে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) সেপ্টেম্বর–অক্টোবর সময়ের দেড় বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর গত ১১ নভেম্বর রিজার্ভ নেমেছিল ১৮ দশমিক ৪৬ বিলিয়নে। এ নিয়ে এক মাস ১৮ দিনে রিজার্ভে নতুন করে যোগ হলো ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়ায় ২০ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। ওই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার, যা রবিবার শেষে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এর থেকে কমতে–কমতে গত জুলাইতে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এর প্রতি মাসে গড়ে ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে না কমে বরং বাড়ছে। মূলত ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থান, ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরানোর চেষ্টা, রিজার্ভ থেকে ঢালাওভাবে ডলার বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন কারণে হুন্ডি চাহিদা কমে ব্যাংকিং চ্যানেলে এভাবে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আবার জুলাই–নভেম্বর সময়ে রপ্তানি আয় এসেছে এক হাজার ৯৯০ কোটি ডলার। আগের বছরের এই সময়ে যা ছিল এক হাজার ৭৮১ কোটি ডলার। এর মানে ৫ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এসব কারণে এভাবে রিজার্ভ বাড়ছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুইবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সেসময় বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। আবার বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর ধারাবাহিকতায় ক্রমেই বাড়ছে রিজার্ভ।

এম হাসান

×