এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক
আয়রন ও স্টিল পণ্য আমদানিতে শুল্কবৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছেন এ শিল্পের উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, আমদানিকারকরা যে মূল্যে স্টিল পণ্য আমদানি করছে তার চেয়ে অধিক মূল্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্কায়ন করছে। এক্ষেত্রে ভ্যালুয়েশন রুল ২০০০ মানে হচ্ছে না। ফলে লৌহ শিল্পের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না এ খাতের উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার সকালে
বাংলাদেশ আইরন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠকে এসব দাবি দাওয়া এবং এ শিল্পের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ আইরন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুজার গিফারী জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসিরুল্লাহ এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মো. আমির হোসেন নূরানীসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, তারা বর্তমানে যে মূল্যে কাঁচামাল আমদানি করছে তার চেয়ে অধিক মূল্যে কাস্টমস শুল্কায়ন করছে।
শুধু তাই নয়, ভ্যালুয়েশন রুল ২০০০ মানে হচ্ছে না। এ শিল্পের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফিনিশ প্রোডাক্ট এসে এদেশের মার্কেট সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশে লৌহ শিল্প কারখানা হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবুজার গিফারী জুয়েল বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ট্যারিফ রয়েছে। বৈষম্য দূর করার জন্য সকল দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে ট্যারিফ নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, আয়রন ও স্টিল আমদানিতে ব্যবসায়ীরা ৩৩-৩৪ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছে।
কিন্তু বাজার যাচাই-বাছাই না করেই এনবিআরের কাস্টমস কর্মকর্তারা ৩৮-৪০ শতাংশ ভ্যাট আদায় করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমির হোসেন নূরানী বলেন, আয়রন ও স্টিল খাত উন্নয়নে বন্ড ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সুবিধার অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং কমার্শিয়ালের মধ্যে শুল্কবৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। স্টিল ব্যবসায়ীদের টার্ন ওভার অনেক বেশি কিন্তু মুনাফা খুবই সামান্য। এক্ষেত্রে ভিডিএস প্রত্যাহার করে ভ্যাট আইন সহজ করার দাবি জানান। এ ছাড়া বছর শেষে প্রত্যয়ন পত্রের দাবি জানান। এ সময় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।