ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোতে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:১৩, ১৪ জুলাই ২০২৪; আপডেট: ২২:৩৯, ১৪ জুলাই ২০২৪

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোতে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যবসায়ীরা

সভায় এফবিসিসিআই ও এবিবিএফের নেতৃবৃন্দ। 

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোতে অংশ নিতে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপো-২০২৪ উপলক্ষে রবিবার (১৪ জুলাই) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর সঙ্গে এক সভায় এই আগ্রহ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি যশোদা জীবন দেব নাথ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের (এবিবিএফ) সভাপতি আবদুল রতন খান, এবিবিএফের পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান টিপু, এফবিসিসিআই’র বাণিজ্য মেলা ও বিদেশি প্রতিনিধিদল সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব নুরুজ্জামান, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 

সভায় উপস্থিত ব্যবস্য়ায়ী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মাঝে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপো নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। তারা এই মেলায় অংশ নিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় অস্ট্রেলিয়ার মার্কেটে বাংলাদেশি পন্যের কেমন চাহিদা রয়েছে সেই বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। 

এক্সপোতে অংশ নিতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি যশোদা জীবন দেব নাথ বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় জুট ও লেদার জাতীয় পন্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি আমাদের কাজে লাগাতে হবে। শুধু এটিই নয় বাংলাদেশি আরো পন্যের সেখানে চাহিদা রয়েছে, আমাদের সেটি তাদের সামেন তুলে ধরতে হবে। সিঙ্গেলকান্ট্রি ফেয়ার হিসেবে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটিকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি এই মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার এই মেলাটি উদ্বোধন করবেন।’

এবিবিএফ-এর সভাপতি আবদুল রতন খান বলেন, ‘আমাদের ফোরাম একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। আমরা ব্যবসার জন্য কাজ করছি না। কারণ, বাংলাদেশি হিসেবে দায়িত্ব ও দেশ প্রেমের জায়গা থেকে আমরা এ কাজ করছি। এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে আমরা আরো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো, গর্ববোধ করবো। সেখানের মাটিতে আমাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে। আগামী মাস থেকে বাংলাদেশের জন্য ট্রেড কমিশনার নিয়োগ দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এতে পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া চাচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রেড সম্পর্ক বাড়াতে।’

তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে কাজ করছি। আগে বিম্বের অনেক দেশই বাংলাদেশকে চিনত ভারতের প্রতিবেশি দেশ হিসেবে। আর এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন পদক্ষেপে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এখন আমরা গর্ব করে বলতে পারি আমরা বাংলাদেশি। আমরা চাচ্ছি এই বিজনেস ফোরামের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করা। অস্ট্রেলিয়ার অনেক ব্যবসায়ীরাই বাংলাদেশের পন্য সম্পর্কে অবগত নয়। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন, এর পেছনে আমাদের বড় একটা ভূমিকা ছিল। ২৩ বছর পরে কেউ অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশ সফরে এসেছে। সামনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও যেন বাংলাদেশ সফরে আসেন, আমরা সেই জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যেহেতু সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ার করতে যাচ্ছি, সেহেতু এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ পাঁচটি বিজনেস প্রতিষ্ঠান আমাদের মেলায় আসবে। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির সুযোগ ৮ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু সেখানে মাত্র ১ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি হচ্ছে। তবে গত তিন বছরে ৩০০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। কাজেই আমরা চাই আপনারা মেলায় আসুন এবং বাংলাদেশি পন্য তুলে ধরে অস্ট্রেলিয়ার বিশাল মার্কেটে নিজেদের অবস্থান গড়ে তুলুন। মেলায় অংশ নিতে প্রতি স্ট্রলের জন্য খুব কম খরচ নেওয়া হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপো আগামী ৩ ও ৪ অক্টোবর সিডনির আন্তর্জাতিক কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মেলায় প্রায় ১৫০টি এর মতো স্টল অংশ নেবে। মেলায় অংশ নিতে প্রতি স্ট্রলের ফি ধরা হয়েছে ৩৫০০ ডলার। 

এম হাসান

×