ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

সেমিনারে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হলেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়বে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হলেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়বে

সেমিনারে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হলেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিধি বাড়বে বলে মনে করেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ি ইউন জং। সে সময়ে বিনিয়োগের এই চাপ সামাল দিতে যথাযথ প্রকিউরমেন্ট আইন ও কর্মীদের দক্ষতা প্রয়োজন হবে তিনি মনে করেন। সোমবার রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এডিবি আয়োজিত বিজনেস অপরচুনিটিজ সেমিনার-২০২৫ এ অংশ নিয়ে তিনি এমনটা জানান।
হোয়ি ইউন জং বলেন, বাংলাদেশ যখন তার অর্থনীতি বহুমুখীকরণ করছে, সংস্কার বাস্তবায়ন করছে এবং ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিক দক্ষতা ও কার্যকারিতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে এডিবি। 
তিনি বলেন, সময়োপযোগী প্রকিউরমেন্ট নিশ্চিত করা খুব জরুরি। এতে যে কোনো  প্রকল্পে অর্থের ব্যবহার ও বাস্তবায়নের গতি বাড়বে। একই সঙ্গে এডিবির বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানেরও দক্ষতা বাড়াতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হলেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিধি বাড়বে। সেই চাপ সামাল দিতে যথাযথ প্রকিউরমেন্ট আইন ও কর্মীদের দক্ষতা দরকার হবে বলেও মনে করেন, এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি।

এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে দক্ষতা, ন্যায়সঙ্গতা, স্বচ্ছতা, গুণগতমান এবং অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রকিউরমেন্ট সময় হ্রাস করার লক্ষ্যে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি। এ সময় এডিবির বেসরকারি খাত সম্প্রসারণের কৌশলের আলোকে এই খাতে ব্যবসার সুযোগ প্রসারিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় এডিবি- এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ৫২ বছরের অংশীদারিত্বে এডিবি ৬২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ ও অনুদান দিয়েছে, যা দেশের অবকাঠামো, জনসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের মানোন্নয়নে ব্যয় হয়েছে। এ ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সংস্থাটির ১২ বিলিয়ন ডলারের ৫২টি প্রকল্প চলমান এবং পাইপলাইনে আছে আরও আড়াই বিলিয়ন ডলার।
এডিবির প্রকিউরমেন্ট, পোর্টফোলিও ও ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক জেসপার পেডারসেন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান ও পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে এডিবি তার প্রক্রিয়াসমূহ আরও উন্নত করছে। এতে টেকসই, স্বচ্ছতা এবং গুণগতমান বজায় রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এডিবি জানিয়েছে, তারা স্থানীয় শিল্প খাতের বিকাশে তার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশী ঠিকাদার ও পরামর্শকরা দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ধারাবাহিকভাবে সফলভাবে চুক্তি অর্জন করে চলেছেন। ভবিষ্যতে এডিবির কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ায় এই সুযোগগুলো আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে সকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দিনব্যাপী এই সেমিনারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস (বেসিয়া), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বেসিআই) এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিডব্লিউসিসিআই) প্রতিনিধিসহ পরামর্শক, ঠিকাদার, সরবরাহকারী, সিভিল সোসাইটি সংগঠন, সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী, কূটনৈতিক মিশনের কর্মী এবং বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ৫শ’ এর অধিক সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

×