
‘অর্থনীতির বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এসএমই উদ্যোক্তারা’
বর্তমান অস্থিতিশীল বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্থানীয় অর্থনীতিতে অস্থিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তদুপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, ব্যবসায়িক হয়রানি, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, আয়কর ও ভ্যাট প্রদানে জটিলতা এবং অসহনীয় যানজটে ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিনিয়োগবান্ধব নয় বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
এর ফলে ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে ক্ষদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও আদাবর অঞ্চলের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরূপন ও করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এমনটা বলেন। ‘ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা, আয়কর ও ভ্যাট, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদ হার এবং যানজট’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে উদ্ভূত নানা চ্যালেঞ্জ, কর ও ভ্যাট ব্যবস্থার জটিলতা, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সংকট, আমদানি-রপ্তানির প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতা এবং সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমাদের এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একটি নিরাপদ, স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
তাসকীন আহমেদ বলেন, আসন্ন বাজেটে ডিসিসিআই থেকে উৎসে করের হার যৌক্তিকভাবে হ্রাস করা, মূসক হার সিঙ্গেল ডিজিটে নির্ধারণ ও অনানুষ্ঠানিক খাতের জন্য ১% হারে মূসক নির্ধারণ এবং ভ্যাট অ্যাপ চালুর প্রস্তাবের পাশাপাশি সামগ্রিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে ব্যবসার পরিবেশ উন্নতি হবে এবং সেই সঙ্গে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আহরণ।
তিনি আরও বলেন, শিল্পায়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ প্রাপ্তি প্রক্রিয়ার সহজীকরণ, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অটোমেশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে গতিশীলতা আনায়ন এবং সরকরের পক্ষ হতে যুগোপযোগী নীতি সহায়তার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা কর দিতে চায়, কিন্তু আমরা কোনো হয়রানি চাই না। আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে তিনি বলেন, যে কোনো স্তরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আইনের শাসন এবং এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই।