
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যের ওপর সাময়িকভাবে একপেশে শুল্ক আরোপ করেছে, যা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও ঝুঁকি মোকাবেলায় কৌশল নির্ধারণে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
তিনি জানান, বর্তমানে এই সময়সীমার মধ্যে প্রায় ৮২ থেকে ৮৩ দিন বাকি রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক রপ্তানি বাজার। আমরা বছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করি যুক্তরাষ্ট্রে, অথচ আমদানি করি মাত্র ২.২ বিলিয়ন ডলারের মতো। ফলে আমাদের পক্ষে বিশাল বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মূলত এই ঘাটতির প্রেক্ষিতে একপেশে শুল্ক আরোপ করেছে। কিন্তু তারা সেবার খাতে নিজেদের ঘাটতির হিসাব করছে না।”
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের আমদানিকৃত ৭৫ শতাংশ পণ্যই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে চারটি পণ্যে—এলএনজি, তুলা, সয়াবিন ও ধাতব স্ক্র্যাপ। এ সকল পণ্য বাংলাদেশের শিল্প খাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদের পরামর্শে একটি সমন্বিত কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার একজন হাই-প্রতিনিধি আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআর (USTR) – শুল্ক ও বাণিজ্য নীতিনির্ধারক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বৈঠকে পশুখাদ্য, সয়াবিন তেল ও তুলার মতো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের জন্য পরস্পর-পরিপূরক পণ্যের শুল্ক হার যৌক্তিক পর্যায়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হবে। তুলার ক্ষেত্রেও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সরবরাহ চেইন দ্রুততর ও কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, যা বাংলাদেশের পোশাক খাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
তিনি বলেন, “আমাদের পণ্যের গুণগত মান ও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা বাড়াতে অবকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, এসব উদ্যোগের মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।”
এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও টেকসই হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
সূত্র: https://www.facebook.com/JanakanthaNewsbd/
আবীর