
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আপসের পথ বিবেচনা করছে সরকার।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। অনেক দেশই বিকল্প উপায়ে অর্থ ফেরত আনে। আপসের মাধ্যমে দ্রুত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “যেকোনো প্রক্রিয়ায় অর্থ ফেরতের আগে কোন দেশে কত সম্পদ পাচার হয়েছে—সে সম্পর্কে বিস্তারিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ জরুরি। এতে দর কষাকষির সুবিধা হয়।”
গভর্নর জানান, বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত করতে আন্তর্জাতিক কিছু ফার্মের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারি সংস্থার সঙ্গেও ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রামের একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ এক লাখ ২৫ হাজার কোটি থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে জানান গভর্নর। তিনি আরও বলেন, বেক্সিমকোসহ আরও কয়েকটি বড় গ্রুপকে যুক্ত করলে এই অঙ্ক দাঁড়াতে পারে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকায়।
তিনি বলেন, “দেশে বর্তমানে ৫ লাখ কোটি টাকার মতো অপ্রদত্ত ঋণ রয়েছে। এর একটি বড় অংশ পাচার হয়ে গেছে। অবশিষ্ট অর্থও এখনো আদায় হয়নি। অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমে আদায়ের চেষ্টা চলছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা অর্থপাচারে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কেবল ধারণার ভিত্তিতে কাউকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া ঠিক নয়। যদি দুদক বা রাষ্ট্রীয় কোনো সংস্থা প্রমাণসহ অভিযোগ দেয়, তখন তা বিবেচনা করা হয়।”
বর্তমান অর্থনীতির অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। রিজার্ভ, মুদ্রাস্ফীতি, রপ্তানি আয়সহ বেশ কিছু সূচকে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এমনকি ইসলামী ব্যাংকসহ দুর্বল হয়ে পড়া কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকও গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।”
আসিফ