ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

১০ দিনের আল্টিমেটাম এফবিসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের

এফবিসিসিআইয়ের সহায়ক কমিটি বাতিল, প্রশাসকের পদত্যাগ দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:১৭, ১২ এপ্রিল ২০২৫

এফবিসিসিআইয়ের সহায়ক কমিটি বাতিল, প্রশাসকের পদত্যাগ দাবি

.

আগামী ১০ দিনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সহায়ক কমিটি বাতিলসহ প্রশাসকের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে এফবিসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ। ওই সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে এফবিসিসিআই রক্ষায় বৃহত্তর আকারে মানববন্ধন ও আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আগামী তিনমাসের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে নির্বাচিতদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি করেছে এফবিসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় এফবিসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি উপস্থাপন করে ব্যবসায়ীরা বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এসব দাবি না মানা হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। সরকার নিযুক্ত প্রশাসক দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নিলেও ব্যবসায়ীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফেডারেশন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। অন্যদিকে ফেডারেশনের সংস্কার কার্যক্রম চলছে খুবই ধীরগতিতে। সে কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে না। এ সময় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আনোয়ার হোসেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পরিষদের উপদেষ্টা এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও সহ-সভাপতি খোরশেদ আলী মোল্যা, সদস্য সচিব এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মো. জালালউদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও সহ-সভাপতি মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়ক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আবু মোতালেব, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভরসা। এফসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আরও রয়েছেন এফবিসিসিআিইয়ের সাবেক সাবেক পরিচালক ও সহ-সভাপতি নিজামউদ্দীন রাজেশ ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক খন্দকার রহুল আমিন। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ আফতাব জাবেদ, আমির হোসেন নূরানী, হাফেজ হারুন, ব্যবসায়ী নেতা এম এ সাত্তার খান, মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান, সফিউদ্দীন আহমেদ, আসলাম আলী, আলী জামানসহ শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, এফবিসিসিআই প্রশাসক  ও মহাসচিবের পদত্যাগ, সহায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রকৃত নিরপেক্ষ, সৎ ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সমন্বয়ে দ্রুত নির্বাচনের লক্ষ্যে সংগঠনটির সাবেক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। তিনি চারটি  দাবি তুলে ধরে জানান, এফবিসিসিআই নির্বাচিত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিকে প্রশাসক নিয়োগ প্রদান, সংগঠনের নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ততটুকু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে এফবিসিসিআইকে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া, অবিলম্বে সহায়ক কমিটি বাতিল করে যাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই- এমন প্রকৃত নিরপেক্ষ ও সৎ ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সমন্বয়ে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে নতুন কমিটি গঠন করা এবং গঠিতব্য এ কমিটির  কোনো সদস্য এফবিসিসিআই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সব পদে স্ব স্ব গ্রুপের সরাসরি ভোট দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি মনোনীত করা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সদস্য সচিব মো. জালাল উদ্দীন বলেন, আমাদের চারটি দাবি আগামী ১০ দিনের মধ্যে মানতে হবে। ওই সময়ের মধ্যেই প্রশাসকের পদত্যাগসহ সহায়ক কমিটি বাতিল করতে হবে। এটাই এখন পাবলিক ডিমান্ডে পরিণত হয়েছে। মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের হয়ে কথা বলার কেউ এফবিসিসিআইতে নেই। সুদহার, পোর্ট চার্জ ও ভ্যাট বেড়ে যাচ্ছে। আমি নিজ উদ্যোগে তার সঙ্গে পাঁচ বৈঠক করে বলেছি চলেন এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকে যাই। তিনি আমাদের না নিয়ে নিজের কিছু পছন্দ লোকদের নিয়ে বৈঠক করেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আসলে তার পদত্যাগ এবং সয়াহক কমিটি ভেঙে দিয়ে দ্রুত নির্বাচন করে নির্বাচিতদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

প্যানেল

×