ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

পহেলা বৈশাখের আগেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ১১ এপ্রিল ২০২৫

পহেলা বৈশাখের আগেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ

.

আর একদিন পরই আগামী সোমবার বাঙালির সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ পালিত হবে সারাদেশে। আর এই পহেলা বৈশাখের সঙ্গে ‘পান্তা ইলিশ’ কথাটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার বৈশাখের পান্তা ইলিশ। বাংলা নববর্ষ শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই এবার ইলিশের চাহিদা আকাশচুম্বী। চাহিদা বাড়ায় বাজারে এখন এই মাছটির দামও এখন চড়া। রাজধানীর বাজারভেদে প্রতিটি এককেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে ৫০০-৮০০ গ্রামের ওজনের ইলিশ মাছ কিনতেও হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে ভোক্তাদের। খিলগাঁও রেলগেট সংলগ্ন খোলা বাজার থেকে মাছ কিনছিলেন তিলপা পাড়ার বাসিন্দা আকতার হোসেন। তিনি জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এককেজি সাইজের একটি ইলিশ মাছ কেনা হলো ২ হাজার ১০০ টাকা দিয়ে। যা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি বলে জানালেন তিন।
ওই বাজারে ইলিশ বিক্রেতা হায়দার আলী জানান, পহেলা বৈশাখের আগে ইলিশের দাম প্রতিবছরই বাড়ে সেই ধারাবাহিকতায় এবারও বেড়েছে। এ সময় মাছের চাহিদা বেশি কিন্তু নদী ও সাগরে ধরা পড়ে কম। এ কারণে অনেক ব্যবসায়ী আগের বরফকৃত মাছ বিক্রি করছেন বলেও তিনি জানালেন। ক্রেতাদের অভিযোগ অনেকে আবার মিয়ানমারের ইলিশ বিক্রি করছে যে মাছের কোনো স্বাদ নেই। এছাড়া মাছ দীর্ঘদিন ফ্রিজে বরফ করে রাখা হলেও সেই মাছের স্বাদ থাকে না। এখন বাজারে যেসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তা মজুতকৃত মাছ। এদিকে ইলিশ মাছের পাশাপাশি অন্যান্য মাছের দামও বেশি। এদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে ভোজ্যতেল চালের দাম বাড়লেও আটা, ডাল, চিনি ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেড়েছে গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজির দাম। শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমে আসায় ধীরে ধীরে সবজির দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।
গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ থেকে টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা,  ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সজনের কেজি ১৪০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা এবং কাঁচা আম ৬০ টাকা কমে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে শিমের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। ফুলকপি প্রতিটি ৬০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে দেশী পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদার কেজি ১২০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশী রসুন ১০০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা,  দেশী মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

×