ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

৯ শর্তে ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ১০ এপ্রিল ২০২৫

৯ শর্তে ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি

৯ শর্তে ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি

নয়টি শর্তে দেশের ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ১৫০ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০০ থেকে ৫০০ টন করে চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতির এ মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অতি সম্প্রতি এ সংক্রান্ত অনুমোদনপত্র প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সুগন্ধি চাল রপ্তানির সুযোগ আবার উন্মুক্ত করেছে এ সরকার। গত ২২ জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় সুগন্ধি চাল রপ্তানি উন্মুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
তবে এবার বেঁধে দেওয়া হয়েছে চাল রপ্তানির পরিমাণ ও ন্যূনতম দাম। এখন বছরে দেশ থেকে রপ্তানি করা যাবে ২৫ হাজার টন চাল। প্রতি কেজির ন্যূনতম দাম হবে ১ দশমিক ৬০ ডলার।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর বিধিবিধান অনুসরণ করা; অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকা; অনুমোদিত পরিমাণের অধিক রপ্তানি করা যাবে না; সর্বনি¤œ রপ্তানি মূল্য ১ দশমিক ৬০ ডলার; শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানিযোগ্য পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে; প্রতিটি কনসাইনমেন্ট জাহাজীকরণ শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র রপ্তানি-২ শাখায় প্রেরণ করা; অনুমতিপত্র কোনোভাবেই হস্তান্তর করা যাবে না এবং রপ্তানিকারক কোনোক্রমেই নিজে রপ্তানি না করে সাব-কন্ট্রাক্ট দিতে পারবেন না; পরবর্তী আবেদনের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী অনুমোদিত পরিমাণ থেকে প্রকৃত রপ্তানির সকল তথ্য-প্রমাণসহ আবেদন দাখিল করা এবং সরকার প্রয়োজনে যে কোনো সময়ে অনুমতিপত্র বাতিল করতে পারবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছরে সুগন্ধি চাল রপ্তানি শুরু হয়। প্রথম বছর ৬৬৩ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়। পরের বছরগুলোতে রপ্তানির পরিমাণ বাড়তে বাড়তে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ হাজার ৮৭৯ টনে উন্নীত হয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৬ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৫ লাখ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫১ লাখ মার্কিন ডলারের সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছিল। ২০২২ সালে প্রথমবার সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করা হয়। এরপর মাঝে কিছু অনুমতি দিলেও ২০২৩ সালের অক্টোবরে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, দেশে বছরে গড়ে সুগন্ধি চাল উৎপাদন হয় ১৮-২০ লাখ টন। আর ইতোপূর্বে বছরে গড়ে রপ্তানি হয়েছে ১০ হাজার টন। অর্থাৎ উৎপাদনের তুলনায় চালের রপ্তানি অনেক কম।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছে বলে জানা যায়।

×