ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

আইএমএফ ঋণের পরবর্তী ২ কিস্তি একসঙ্গে পেতে বাধা নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ৭ এপ্রিল ২০২৫

আইএমএফ ঋণের পরবর্তী ২ কিস্তি একসঙ্গে পেতে বাধা নেই

আইএমএফ ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে

আইএমএফ ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হওয়ার আশা প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। 
সোমবার রাজস্ব খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও আদায়ের পরিস্থিতি জানতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 
বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠকে চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি, আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কর-জিডিপি বাড়ানোর কর্মপদ্ধতি, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়ণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এ  বৈঠকে আইএমএফের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। আগামী বুধবার পুনরায় বৈঠক হওয়ার কথা। এনবিআর চেয়ারম্যানসহ আলাদাভাবে কাস্টমস, আয়কর ও ভ্যাট অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। 
এদিকে রবিবার আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জনকণ্ঠকে জানান, ‘আইএমএফের প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের সঙ্গে আরো সভা হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের। তাদের সঙ্গে হওয়া ইতোপূর্বের আলোচনার ধারাবাহিকতা চলছে। আর্থিক খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ ও তার বাস্তবায়নের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, পরবর্তী কিস্তি একসঙ্গে পেতে কোনো বাধা থাকবে না।’
আর্থিক সংকটে পড়ে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ। অনেক আলোচনা শেষে বেশ কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের শর্ত মেনে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতার পর ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। পরের বছর প্রথম কিস্তির অর্থও হাতে পায় বাংলাদেশ।

ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। ওই সব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। ইতোমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় ধাপের পর্যালোচনা শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় দেওয়ার কথা ছিল সংস্থাটির। তবে সেসময় ওই কিস্তির অর্থ ছাড় হয়নি। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আগের মতো আবারও শনিবার রাতে ঢাকায় এসেছে আইএমএফের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে আইএমএফ দলের দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার সূচি রয়েছে।

×