ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

৮ মাসেই রপ্তানি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য

প্রকাশিত: ১২:১০, ৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১২:১৫, ৬ এপ্রিল ২০২৫

৮ মাসেই রপ্তানি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা ইপিজেড দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ ক্ষেত্র। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বর্তমানে ৩০ টি বিদেশী, সাতটি যৌথ ও ১১ টি দেশীয় বিনিয়োগকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এখানে।

চলতি অর্থবছরের গেল প্রথম আট মাসেই রপ্তানি হয়েছে ৬৪৬.৩০ মিলিয়ন ডলার। টাকার অংকে যা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। যা ইতোমধ্যেই আগের অর্থবছরের চেয়ে বেশি। ইপিজেড কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি ছাড়াবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকায়।

কোভিড পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় ব্যহত হয় কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম। তবে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, "রপ্তানি দ্বারা আসলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যে গার্মেন্টস বিশেষ করে ইপিজেডের যে প্রোডাক্টগুলা এগুলার অর্ডার বৃদ্ধি হওয়াতে এবং শ্রমিক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেই সাথে আমাদের কুমিল্লা ইপিজেড যেহেতু নতুন, খালি কোন প্লট নেই, বিল্ডিং নেই সেজন্য ইনভেস্টমেন্ট সেভাবে না বাড়লেও এক্সিস্টিং যারা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আছে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সম্প্রসারণ করছে।"

বর্তমানে ইপিজেডের ৪৮ টি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে ৫০ হাজারের বেশি শ্রমিক যার ৬৫ শতাংশই নারী। তৈরি হচ্ছে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, সোয়েটার, ইলেকট্রনিক্স পার্টস, ফুটওয়ার, সেফটি জ্যাকেটসহ নানা পণ্য। তবে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত প্লট। ফলে বিনিয়োগকারীরা বাধ্য হচ্ছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুপাশে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে, যা নষ্ট করছে পরিবেশ। তাই অঞ্চলটিকে বাড়িয়ে নতুন প্লট বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।


সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=LZ7S6mlF26M

আবীর

×