
ছবি: রুহআফজা মাস্কাট শাহী হালুয়া
পবিত্র মাহে রমজান শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। সামনে ঈদ। তবে শেষ রমজানে এসেও ইফতারে উত্তরাঞ্চলের বাহের দ্যাশের নীলফামারী সহ বিভিন্ন জেলায় ঐতিহ্য বুট বিরিয়ানী, জিলাপি, বুন্দিয়া ওনিখুঁতির পর এবার নতুন সংযোজন হয়েছে রুহ আফজা মাস্কাট শাহী হালুয়া। যা রোজার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চাহিদার তুঙ্গে স্থান করে রেখেছে।
এ অঞ্চলের ইফতার পাতে ভাজাপোড়া আর মুখরোচক খাবার প্রাধান্য পায় বহুকাল ধরে। তবে, এবার রুহআফজা মাস্কাট শাহী হালুয়া বেশি জায়গা করে নিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ইফতার বাজারে মানসম্মত ইফতার কিনতে রীতিমতো ভিড় করেন ক্রেতারা।
এ অঞ্চলের রুহআফজা মাস্কাট শাহী হালুয়া প্রকাশ করেছে বিভাগীয় শহর রংপুরের মৌবন হোটেল। সেখান থেকে তা নীলফামারী সহ অন্যান্য এলাকায় চালু হয়ে গেছে। এই হালুয়া তৈরীতে ময়দা, চিনি, শিরা, অন্যান্যখাদ্য উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় মাস্কাট হালুয়ার ছানা। পরে সেই ছানায় রুহ আফজা মিশিয়ে অন্য পাত্রে রেখে ঠান্ডা করলেই লাল রঙের আলতো জমাট বাধে এই হলুয়া। জমাট বাধা খামির পরে পিস পিস করে কেটে বিক্রির উপযোগী করা হয়রোজাদারদের ইফতারের জন্য।
প্রতি পিস ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। ২৬০ থেকে ৩০০ টাকাকেজি দরেও বিক্রি হয় এই হালুয়া। রোজাদারদের ইফতার পার্টিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই হালুয়াটি। নীলফামারী শহরে থ্রীষ্টার হোটেল এই হালুয়া তৈরী করে বিক্রি করছে। পাশাপাশি জেলা সৈয়দপুর ও রংপুর এবং বদরগঞ্জেও চালু হয়েছে এই হালুয়া।
বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, দই বড়া, শাহী জিলাপি, বুট, বুন্দিয়া, বুট বিরিয়ানী, ছানা পোলাও,পিঁয়াজু আর চপের সঙ্গে প্রত্যেক রোজাদার কম বেশি কিনছেন রুহ আফজার মাস্কাট হালুয়া। প্রত্যেক রমজানে ব্যতিক্রমী আইটেম আয়োজন করা হয় রোজাদারদের ইফতারের জন্য। তাই গতবারের চেয়ে এবার শাহী মাস্কাট হালুয়ার চাহিদা প্রচুর বলেও জানান এই বিক্রেতা।
রুহ আফজার মাস্কাট হালুয়া ছাড়াও ৫০ থেকে ৭০ পদের বাহারি মুখরোচক ইফতার আইটেম বিক্রি হচ্ছেইফতার বাজারে। মান ভেদে প্রতিটি ইফতার প্যাকেজ ১০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রিওকরছেন তারা। এবারের রমজানে বেচাবিক্রি ভালো বলেও জানান ইফতার বাজারের বিভিন্নহোটেলের মালিকগণ।
শিলা ইসলাম