
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে ব্রিটিশ সহযোগিতা অব্যাহত
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে ব্রিটিশ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। লন্ডন সফরে আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, সরকারের নির্দেশেই শেখ মুজিবের ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জুলাই আন্দোলনের ছবিযুক্ত নোট প্রস্তুত হয়নি। তবে নষ্ট না করে অবশিষ্ট টাকা আপাতত সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। চলতি মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তিন বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসতে পারে।
তিনি বলেন, নতুন করে আগের সরকারের অতিরিক্ত ছাপানো টাকাগুলোর অবশিষ্টগুলো বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। যেসব নোট অবশিষ্ট আছে, সেগুলো আপাতত বাক্সবন্দি অবস্থায় থাকবে। নতুন নোট ছাপানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি ব্রিটেন ও একটি সুইস কোম্পানি এটি তৈরি করছে।
আলোচনা হয় রেমিটেন্স প্রসঙ্গেও। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আড়াই বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। আর চলতি মাসের ১৯ দিনে এসেছে সোয়া দুই বিলিয়ন ডলার। ইতিহাস ভেঙে একক মাস হিসাবে এটি তিন বিলিয়ন হওয়ার আশা গভর্নরের।
তিনি বলেন, রেমিটেন্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেওয়া হোক বা অর্থ পাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিটেন্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে তিন বিলিয়ন হতে পারে।
সফর প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, এস আলমসহ বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থের খোঁজে তিনি এসেছেন। কোথায় কী কী সম্পদ আছে এবং তা দেশে ফিরিয়ে নিতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার কথাও জানান গভর্নর।
তিনি বলেন, ১৫-২০ বিলিয়ন ডলার এক ব্যক্তি ও তার পরিবার নিয়ে গেছে। যেসব জায়গা থেকে এসব অর্থ নেওয়া হয়েছে সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এস আলম গ্রুপের অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। কীভাবে নেওয়া হয়েছে, বিদেশে কী কী সম্পদ রয়েছে তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট এনজিও, লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গভর্নর বলেন, অবাধে অর্থ পাচার বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে রিজার্ভের ক্ষয় অনেকটাই কমে এসেছে। আইএমএফের বিপিএম-সিক্স অনুযায়ী, ২০ মার্চ রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার।