
মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ
আগামী বাজেট সামনে রেখে এফবিসিসিআইয়ের সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের আহ্বায়ক মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভ্যাটের হার না বাড়িয়ে আওতা বাড়ান। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এতে ভ্যাট ও কর বেশি পাবেন। ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দিতে চান, কিন্তু অহেতুক তাদের হয়রানি করবেন না।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে সকল পণ্যের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশই পুনর্বহাল করতে হবে। অন্যথায় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা কোনোভাবেই ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা সম্ভব নয়। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে সম্প্রতি এফবিসিসিআইয়ের সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বৈষম্যমূলক কর বৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটির নেতারাও অংশগ্রহণ করেন।
ওই সময় মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ ভ্যাটের হার সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দিয়ে ভ্যাট ও কর আদায়ের পদ্ধতি অবলম্বন করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী পর্যায় সরবরাহের ক্ষেত্রে সকল পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭.৫ ভাগ করা হয়েছে। এটা কমিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
অংশীজনদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই মূসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় আমরা ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তিনি আরও বলেন, ইলেকট্রিক পণ্য আমদানিতে ভ্যাট ও কর কমাতে হবে। একই সঙ্গে ইলেকট্রিক পণ্য আমদানিতে যেসব কাঁচামাল বাইরে থেকে আমদানি করা হচ্ছে সেগুলোর ওপর সহনীয় ভ্যাট হার নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
অন্যথায় দেশীয় শিল্পের বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কাস্টমস্ এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগীয় কার্যালয় প্রতিটি ব্যবসায়ীকে ডেকে ডেকে ৪.৩ উপকরণ উৎপাদনসহ ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত দিয়ে ৪.৩ জমা দিতে বাধ্য করছেন। উনারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নবাবপুরের ব্যবসায়ীর ক্রয়মূল্যের সঙ্গে ১০ শতাংশ যোগ করে পণ্যের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন কিন্তু ১০ শতাংশ লাভ করা আমাদের মতো পাইকারি ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে অসম্ভব।
এই বিষয়টিও বিবেচনা করে ভ্যাট নির্ধারণ করতে হবে। মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিবছর এফবিসিসিআইয়ের মাধ্যমে বাজেট প্রস্তাবনা এনবিআরকে দিয়ে থাকি। কিন্তু নির্বাচিত বোর্ড ভেঙে দিয়ে সেখানে এখন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। এ অবস্থায় ভ্যাট ও কর কমানোর বিষয়ে এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করা ব্যবসায়ীদের কঠিন হয়ে পড়ছে। এফবিসিসিআইতে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সংকটের সমাধান হতে পারে।